নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশ দলের প্রায় সব ব্যাটসম্যানই যখন ব্যর্থ, তখন জ্বলে উঠলেন তামিম ইকবাল। ড্যাশিং এই ওপেনার তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবুও প্রথম ইনিংসে সফরকারি দল ২৩৪ রানের বেশি স্কোর বোর্ডে জমা করতে পারেনি। অথচ তামিম একাই করেছেন ১২৬ রান।
তবে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হ্যামিল্টনে একটুর জন্য ইতিহাস গড়ার সুযোগ মিস করেছেন তামিম ইকবাল। ইতিহাসের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি হাঁকানোর মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি তামিম।
ইনিংসের ১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার সাদমান ইসলাম যখন আউট হন, তামিম তখন অপরাজিত ৩০ বলে ৩৩ রান করে। এরপর লাঞ্চের আগে তামিম মোকাবেলা করেছেন আরও ৫৫ বল, অর্থাৎ মোট ৮৫ বলের মোকাবেলায় ৮৬ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে মাঠ ছাড়েন তামিম।
লাঞ্চ বিরতির ৮ বল আগে সাজঘরে ফেরা মুমিনুল হক খেলেছিলেন ৪৬ বল (যা থেকে এসেছিল ১২ রান)। কিউই পেসারদের সামলাতে তামিম সাবলীল থাকলেও মুমিনুল খেলছিলেন ধীরে। টেস্ট ম্যাচের বিবেচনায় মুমিনুলের ব্যাটিংকেই অধিক আদর্শ বলে গণ্য করা যায়। তবে এই আদর্শ ব্যাটিংই অপ্রত্যাশিতভাবে তামিমকে প্রথম সেশনে শতক তুলে নেওয়ার সুযোগ থেকে ‘বঞ্চিত’ করেছে!
স্ট্রোক খেলা তামিম লাঞ্চ বিরতির আগে আরও ক’টা বল মোকাবেলা করলে হয়ত শতক নিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারতে পারতেন। সেক্ষেত্রে তামিমের পাঁড় ভক্তরা মুমিনুলের ধীর ইনিংসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডও তামিমের প্রথম সেশনে শতক না পাওয়ার পেছনে মুমিনুলের ঐ ইনিংসকে দায় দিয়ে লিখেছে, ‘…এরপর মুমিনুল হক ব্যাট হাতে ওমন অবরোধ দাঁড় করানোয় তামিমের ১৫ রানের কমতি থেকেই যায়, তা না হলে এটি দুর্দান্ত অর্জন হতে পারত।’
প্রসঙ্গত, টেস্টের প্রথম সেশনেই শতক হাঁকানোর কীর্তি আছে মাত্র ছয় ক্রিকেটারের। এরা হলেন- ভিক্টর ট্রাম্পার, চার্লস ম্যাকার্টনি, ডন ব্র্যাডম্যান, মজিদ খান, ডেভিড ওয়ার্নার ও শিখর ধাওয়ান।
প্রথম সেশনে শতক তুলে নেওয়ার এমন সুবর্ণ সুযোগ অবশ্য আগেও একবার হাতছাড়া করেছেন তামিম। ২০১০ সালের ২০ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে উড়ন্ত সূচনা করা তামিম ইনিংসের ২৩তম ওভারের প্রথম বলে ৭১ বলে ৮৫ রান করে আউট হয়ে যান। জেমস ট্রেডওয়েলের বলে ম্যাট প্রায়োরের ঐ ক্যাচ নিয়ে অবশ্য বিতর্কও আছে!