আইপিএলে আগের সবগুলো মৌসুমেই দুর্নীতি দমনে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) সঙ্গে কাজ করেছে বিসিসিআই। এবার থেকে সেটি আর হচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইপিএল পরিচালনায় আর আইসিসির এই বিভাগের দ্বারস্থ হওয়ার কোনো দরকার নেই। আইসিসির সাহায্য নেওয়ার বদলে নিজস্ব দুর্নীতি দমন বিভাগ (এসিইউ) দিয়েই আইপিএল চালাবে বিসিসিআই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইপিএল নিয়ে আকসুর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের সম্পর্কচ্ছেদের পেছনে অন্যতম কারণটি অর্থনৈতিক। আইপিএলের গত মৌসুমে ৩.১ কোটি রুপি খরচায় আকসুর সেবা কিনেছে বিসিসিআই। তার চেয়ে অনেক কম খরচেই নিজেদের দুর্নীতি দমন বিভাগকে কাজে লাগানো যাবে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই, ‘কোনো কারণ নেই। কারণ আমরা তাঁদের (আকসু) জন্য যত খরচ করছি, তার ১০ শতাংশ অর্থেই ওদের (এসিইউ) পাওয়া যাবে। তাই অন্যদের ভাড়া করার চেয়ে নিজেদের মানুষ ভাড়া করাই ভালো।’
Eprothom Aloআইপিএলের জন্য ভারতে আসা আকসুর প্রতিটি কর্মকর্তার জন্য দৈনিক ৫০০ ডলার খরচ হয় বিসিসিআইয়ের। আকসুর এসব কর্মকর্তারা আবার কাজের জন্য এসিইউ কর্মকর্তাদের ভাড়া করে থাকেন। তাঁদের বলা হয় সহকারী দুর্নীতি দমন ব্যবস্থাপক। এসিইউ-র প্রতিটি কর্মকর্তার জন্য দিন প্রতি খরচ হয় ৬ হাজার ৫০০ রুপি। প্রায় দুই মাসব্যাপী আইপিএলকে (২৩ মার্চ শুরু) সামনে রেখে এসিইউ কর্মকর্তাদের জনবল বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছে বিসিসিআই। আইপিএলে যে কোনো ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধে হোটেল এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে খেলোয়াড় ও ম্যাচ অফিশিয়ালদের কাছাকাছি থাকবেন এসিইউ কর্মকর্তারা।
বিসিসিআইয়ের আর আকসুর দ্বারস্থ না হওয়ার এই সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া হয়নি। ভারতীয় বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিভাগে (এসিইউ) অনেক বছর ধরেই জনবল সংকট ছিল। মাত্র তিনজন দিয়ে অনেক দিন চলেছে এসিইউ। এই বিভাগের সাবেক প্রধান নীরাজ কুমার এর আগে আকসুর অধীনে কাজ করার নানা অসুবিধা বর্ণনা করে শক্ত ভাষায় একটি মেইল করেছিলেন সিওএ সদস্যদের। সেই মেইলে বিসিসিআইয়ের ‘দুর্নীতি দমনের ইচ্ছে নেই বললেই চলে’ লিখে সরাসরি ক্ষোভও ঝেড়েছিলেন নীরাজ। এর প্রেক্ষিতে গত কয়েক মাসে এসিইউ-তে জনবল বাড়িয়েছে বিসিসিআই।