২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে প্রথমে সুযোগ পাননি জিয়াউর রহমান। এই নিয়ে রোষের মুখে পড়ে নির্বাচকরা। সংবাদমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই জিয়াউরকে দলে অন্তরর্ভুক্ত করে নির্বাচকরা।
পেস বোলিংয়ে সঙ্গে লোয়ার অর্ডারে নেমে ব্যাটে ঝড় তুলতে পারেন। তাই জিয়াউরের নামের পাশে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ তকমা জুটে গিয়েছিল। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিয়ে খেলতে পারেননি। ২০১৪ ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে আছে তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। একই বছর শেষবার ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন ওয়ানডে সিরিজ। এরপর জিয়াউরের জন্য বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় দলের দরজা।
শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) টি-টোয়েন্টির সেমিফাইনালে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ২৯ বলে জিয়াউর খেলেছেন ঝোড়ো ৭২ রানের ইনিংস। এমন ইনিংস তাঁকে ধারাবাহিকভাবে খেলতে দেখা যায় না। ৮৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মাত্র দুটি ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি এসেছিল ২০১৬ সালে। মাঝে আর কোনো লম্বা ইনিংস নেই। এতদিন কোথায় হারিয়ে ছিলেন? জিয়াউর বলছেন,‘ আমি কিন্তু এনসিএল, বিসিএলে রান করেছি। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এবারের বিপিএলেও সুযোগ পাইনি। সুযোগ পাওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমার ওপর সতীর্থ-কোচ সবার আস্থা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে (শেখ জামাল ধানমন্ডি) আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট-সতীর্থ সবাই বিশ্বাস করেছে। তারা বলেছে, আমি পারব, আমরা জিতব এই ম্যাচ! এই যে একটা আত্মবিশ্বাস, বিশ্বাস, এতেই কিন্তু খেলা বদলে যায়।’
জিয়া বলতে চাইছেন, আজ যে ঝড়টা মিরপুরে তুলেছেন, এটির ধারাবাহিক থাকবে যদি তাঁকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়, ‘আমি সুযোগ কম পাই। সবাই মনে করে শেষ দুই-তিন ওভারে গিয়ে জিয়া অনেক কিছু করে ফেলবে। ওখানে গিয়ে হয়তো একদিন সফল হই কিন্তু দুই দিন হই না। যদি আরও ওপরে ব্যাটিং করার সুযোগ পাই, ধারাবাহিক ভালো করার চেষ্টা করব।’