এম.টুকু মাহমুদ হরিণাকুণ্ডু থেকেঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডুতে সরকারি পৃষ্ঠ পোষকতা ও কৃষি অফিসের অসহযোগিতায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি তথ্যমতে এবার হরিণাকুণ্ডুতে ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে,যা গতবারের তুলনায় কম। হরিণাকুণ্ডু কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চৌধুরী জানান,আমরা কৃষকের সবরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়েছি,যার ফলে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ২ দশমিক ৮ মেট্রিক টন হারে ফলন হলে এবং ১৬-১৮ শটাকা মনদরে পাট বিক্রয় করতে পারলে চাষিরা লাভবান হবে।
সেই ক্ষেত্রে চাষিদের পাট পঁচনের জন্য সিমেন্ট বা পোড়া মাটির ভারী পাত্র ব্যাবহার করে পাট জাগ দিতে হবে যাহাতে রং উজ্জল থাকে।
তিনি আরো জানান, পাট চাষের আর একটি বাড়তি সুবিধা হলো পাট কাটার পর চাষি ভায়েরা রোপা আমন চাষ করতে পারে, রোপা আমন কেটে আবার রবি করতে পারে, সেই সাথে পাটের পঁচা পাতা জমির সার হিসাবে ব্যাবহার হয় যার ফলে অন্য চাষে জমিতে রাসায়নিক সার কম লাগে।
এ ব্যাপারে কৃষক জামাল জানান, এক বিঘা জমিতে পাট কাটতে ৬ টি জন লাগে যার খরচ বর্তমান বাজার মূল্য ১৮০০-২৪০০ টাকা।
আবার পাট কাটার পর তা পচন দেওয়ার জন্য গাড়ীতে টানতে হয় সেখানে ১০০ হাতা ৩ শত টাকা, কিছুকিছু জমিতে ধান লাগানোর জন্য গরু মহিষের গাড়ী যায়না সেক্ষেত্র মাথায় করে টানতে হলে ১০০ হাতা ৪০০-৫০০ টাকা প্রয়োজন হয়। জমি চাষ,সার বীজ,সেচ সহ সব খরচ ধরলে প্রতিমন পাট চাষে খরচ আশে ১৭০০-১৮০০ টাকার বেশি। যার বর্তমান বাজার মূল্য হরিণাকুণ্ডুতে ১৩৫০-১৪০০ টাকা মন। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পাট চাষে লোকশান হচ্ছে কৃষকের।
পাট চাষে কাজ করা সাইফুর রহমান পিনু ও আজিমদ্দি জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট কাটা ও খালে টানা বাবদ ২৪০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
পাট চিকানো শ্রমিক গোলজার হোসেন জানান, ১০০ হাতা পাট চিকাতে ৩ শত টাকা নেওয়া হচ্ছে। আবার সেখান থেকে রৌদ্রে শুকানো তারপর বাজার পর্যন্ত পৌছাতে বর্তমান বাজার দরে পাট বেচে লোকশানেই থাকতে হচ্ছে চাষিদের।
যে মুহুর্ত বর্তমানে পাট থেকে পাটের ব্যাগ, পলিথিন, ফার্নিচার, আসবাবপত্র, সুতা সহ বিভিন্ন পন্য তৈরী করে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটানো হচ্ছে সেহুতো পাটের উপর আরো বেশী গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া হোক এমটাই প্রত্যাশা হরিণাকুণ্ডু চাষী ভাইদের।