হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
কয়েক দিনের টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ করে লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় তিস্তার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হয়। পানির তোড়ে একটি সংযোগ সড়কের একাধিক স্থানে ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়েছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরসহ মাছের খামার। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আজ বুধবার ভোরে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে, পরে তা কমে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। ফলে তিস্তাতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে থাকে। পানির তোড়ে উপজেলার সিংগীমারী ইউনিয়নের ধুবনী এলাকার একটি সংযোগ কাঁচা রাস্তা ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এতে উপজেলার সিংগীমারী, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ি ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার বিপুলসংখ্যক বসতবাড়ি পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিতে ডুবে যায় কয়েক হাজার একরের উঠতি রোপা আমন, বাদামসহ সবজি ক্ষেত। ভেসে যায় শতাধিক পুকুরসহ মাছের খামার।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান, এখন পর্যন্ত এ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ চলছে, তালিকা প্রস্তত হলেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে।