চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যা প্ররোচনা অভিযোগের মামলায় তার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
ডা. মিতুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদালত ‘নো-অর্ডার’ বলে আদেশ দেন।
হাইকোর্ট গত ২৮ আগস্ট মিতুকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে এক রায়ে মিতুর জামিন মঞ্জুর করা হয়। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করেছিল। আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল। মিতুর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।
গত ৩১ জানুয়ারি সকালে নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শিরায় বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন ডা. আকাশ। আত্মহত্যার আগে স্ত্রীর সমালোচনা করে ডা. আকাশ ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আমাদের দেশে তো ভালোবাসায় চিটিংয়ের শাস্তি নেই। তাই আমিই বিচার করলাম, আর আমি চিরশান্তির পথ বেছে নিলাম।’
এই আত্মহত্যার পর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ডা. আকাশের স্ত্রী, শ্যালিকা, দুই বন্ধুসহ ছয়জনকে আসামি করে ১ ফেব্রুয়ারি চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন আকাশের মা জোবেদা খানম। এ মামলায় ওই দিন রাতেই রাতে পুলিশ নগরের নন্দনকানন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ডা. মিতু আটক করে।
এই মামলায় চট্টগ্রামের আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে। এরপর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ডা. মিতু। জামিন শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মিতুর জামিন মঞ্জুর করে গত ২৮ আগষ্ট রায় দেন হাইকোর্ট।