বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনও এই উপজেলায়। লাখ লাখ রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া। পাথুরে গাথা রুপসী কন্যা ইনানী সমুদ্র সৈকত এই উপজেলায়। উখিয়া-টেকনাফ মিলে কক্সবাজার-৪ ভাগ্যবান সংসদীয় আসন।বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ভৌগলিক অবস্থা ও নানাবিধ কারণে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এক আলোকিত নাম। লক্ষ লক্ষ কর্মজীবি মানুষে সরগরম থাকে এখানে। কোনো গার্মেন্স কারখানা না থাকলেও ভোর থেকে রাত অবধি নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ লক্ষ্যনীয়। রোহিঙ্গার কারণে এনজিওতে কর্মরত দেশ-বিদেশের হাজার হাজার শ্রমজীবি মানুষ কাজ করছে নিরলসভাবে। টেকনাফ- উখিয়া থেকে দুরপাল্লায় চলাচলকারী যানবাহন কক্সবাজার রোড ধরে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যায়। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি যেমন বেহাল, তেমনি দু পাশে দখলদারদের দৌরাত্ন। এতে মূল সড়ক দিয়ে যানবাহনগুলো দ্রুত পার হতে পারে না। ঈদুল আজহা সামনে রেখে এ সড়কে যাবাহন আরও অনেক বাড়বে। এমনিতেই এনজিওদের হাজার খানেক বিলাস বহুল গাড়ি চলাচল করছে। এ রাস্তায় যানবাহনগুলোকে ঘন্টার পর আটকে থাকতে হয়। ঈদের আগের দিনগুলোতে এই অবস্থা আর ও ভয়াবহ হবে। সরেজমিন দেখা গেছে, মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী পর্যন্ত বেহাল সড়কটির পাশে বর্জ্যের স্তুপ, অবৈধ পার্কিং, দোকানপাট, গ্যারেজ প্রভৃতি। লোকাল বাসও দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে। তখন যানজটের দীর্ঘ লাইন। উখিয়া, কোটবাজার, কুতুপালং শুধু নয় বেশির ভাগ পয়েন্টের অবস্থাই ভালো নয়। এসব পয়েন্টে বেশির ভভাগ সময় যানজট লেগে থাকে। ফারিরবিল মাদ্রসার শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, ছটির দিন ও কর্মদিবসকে সামনে রেখে অবস্থার আরও অবনতি হয়।মরিচ্যা থেকে পালংখালী পর্যন্ত ৭টি পয়েন্টে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। এই সাতটি পয়েন্ট হলো-মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা যানজটের কারণে যথা সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেন না। এছাড়া দখলদারদের দৌরাত্নের কারণে রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। নানা ধরনের টঙ দোকান, ওয়ার্কশপ, গ্যারেজ, রাস্তার ওপর কাঁচা বাজার, ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে গড়ে ওঠায় যানবাহনগুলো দ্রুত পার হতে পারে না। উখিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মসজিদ মার্কেটের রাস্তার ওপর সী লাইন, কক্স লাইন অবৈধ বাসষ্ঠ্যান্ড বানিয়ে যাত্রী তোলা হয়। যানবাহনের অত্যধিক চাপ থাকায় যানজট তীব্র হয়ে ওঠে।বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সড়কের প্রবেশ মুখে বালুখালী এলাকায় বড় বড় গর্তে যান চলাচলে মারাত্নক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।স্থানীয়রা খানা খন্দে বেহাল অবস্থায় থাকা উখিয়া টেকনাফের সড়কটি দ্রুত মেরামত ও চার লেনে উন্নীত করণের জোর দাবি জানিয়েছেন, পালংখালী ইউপি সদস্য নুরুল হক মেম্বার।