তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে মদ, জুয়া, হাউজি চালু করেন। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে তার প্রসার ঘটান। মির্জা আব্বাস, ফালুরাই ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রচার উপকমিটির সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি একথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জুয়াড়ি সরকার’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের তার প্রতিক্রিয়ায় হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে মদ, জুয়া, হাউজি, উদাম নৃত্যের চালু কে করেছে?
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মদ, জুয়াকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর ক্ষমতায় এসে মদ, জুয়া, হাউজি, উদ্দাম নৃত্য চালু করেন। তারপর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে তার প্রসার ঘটান। মির্জা আব্বাস, ফালুরাই ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটা দেশে অনেকদিন ধরেই ছিল। হঠাৎ করেই হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান হাওয়া ভবন খোলে দুর্নীতি করেছেন। খালেদা জিয়া ও তার অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করছেন। এতিমের টাকা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়েছেন। যে কারণে দায়েক করা মামলায় সাজা ভোগ করছেন তিনি।’
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর এসেছে লন্ডনে তারেক জিয়া যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন, সেখানে ক্যাসিনো থেকেও আয় দেখানো হয়েছে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, সমালোচনা করার আগে আয়নায় নিজের মুখ দেখার জন্য।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহেই সরকারের পদত্যাগের দাবি করেন মির্জা ফখরুল। এটা গত ১০ বছর ধরেই দেখছি। ব্যর্থতার দায়ে বরং মহাসচিবের পদ থেকে তারই পদত্যাগ করা উচিত।’
বৈঠকে আলোচ্য সূচিতে তিনটি এজেন্ডার কথা জানান আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। তিনি বলেন, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর জাতীয় সম্মেলন, ২৪ সেপ্টেম্বর ‘তরুণদের ভাবনায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক রাজশাহীর ওয়ার্কশপ ও শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বৈঠকে প্রচার ও প্রচারণা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মুহাম্মদ আশরাফ সিদ্দিকী বিটু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।