ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই হামলা আওয়ামী বাকশালী ছাত্রলীগের একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে গতকালের মতো আজও নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে যান। এ সময় আওয়ামী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, রাম দা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম শাহীন, ডাকসুর এজিএস প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম সোহেল, জিয়া হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ হলের জিএস প্রার্থী মাহবুবুল আলম শাহীন, সূর্যসেন হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আলম, আতাউর রহমান, খন্দকার ফাহিম, সাগর রহমান ও কর্মী শাহ আলম চৌধুরীসহ ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মীরা মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, এই হামলা আওয়ামী বাকশালী ছাত্রলীগের একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার মতো তারা শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে চায় না। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিদ্যমান থাকলে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে। এই ভয়ে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এখন লাঠিয়ালের ভূমিকা পালন করছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ছাত্রলীগ বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি, ভর্তি, সিট, নকল ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। তারা দেশব্যাপী অরাজকতা ও অনাচারের হোতা। সরকার এদেরকে লেলিয়ে দিয়েছে গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের এই রক্তাত্ব আক্রমণ কাপুরোষচিত। আমি এ হামলায় জড়িত দৃষ্কুতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করছি এবং আহত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের আশু সুস্থতা কামনা করছি।