বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন থাকায় নাইকো মামলার শুনানি আবারো পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৪ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
আজ ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৯ এ নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে হাজির না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
এই মামলায় অন্যান্য আসামিদের পক্ষে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি ইতিপূর্বে কয়েকটি তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুধু খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি বাকি রয়েছে। এরপর থেকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করায় আর শুনানি হয়নি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই (এক বছরের বেশি সময়) তিনি কারাগারে আছেন।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। চার্জশিটের অন্য আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।