মোঃ লালচান মাহমুদ :
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় শরণখোলার এফ.বি আরিফুল ইসলাম নামের একটি ফিশিং ট্রলারে বজ্রপাত ঘটেছে। এতে ট্রলারে থাকা ১৭ জেলের মধ্যে ৫ জেলে গুরুতর আহত হন।
গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলারচর থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ সাগরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর দুর্গম সাগর থেকে প্রায় ১৫ ঘণ্টা চালিয়ে আহত জেলেদের নিয়ে রবিবার সকাল ১১টায় ট্রলারটি শরণখোলা ঘাটে এসে পৌঁছায়। এ সময় আহতদের স্বজন, স্থানীয় জেলে-মহাজনসহ শত শত মানুষ তাদের দেখার জন্য রায়েন্দা নতুন লঞ্চঘাটে ছুটে যান।
আহত জেলেরা হলেন ট্রলার মালিক ও প্রধান মাঝি মো. আলামিন ঘরামী (৩৫), মো রতন (৪০), বাদল খান (৩২), রিয়াজ (৩৫) ও মো. মিঠু (২৫)। এদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ট্রলারের সহকারী মাঝি (চালক) মো. আসাদ খান জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা ১৭ জন জেলে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে যান। শনিবার রাত ৮টার দিকে মাঝারি বৃষ্টির মধ্যে তারা সাগর থেকে জাল তুলছিলেন। এ সময় তাদের ট্রলারে বজ্রপাত হলে ৫ জেলের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। বজ্রপাতে ট্রলারটির ব্যাটারিসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ও মালামাল পুড়ে যায়।
এ সময় আহত জেলে ও ট্রলারটি নিয়ে দ্রুত শরণখোলার উদ্দেশে রওনা হন তারা।
বাগেরহাট জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, দুর্গম সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে আনেক সময় জেলেরা অসুস্থ এবং দুর্যোগের কবলে পড়ে আহত হন। কিন্তু তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা বা উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কোথাও নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তাই সুন্দরবনসংলগ্ন সাগর মোহনার দুবলারচর অথবা কচিখালীতে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন এবং রোগী বহনের দ্রুতগতিসম্পন্ন নৌযান খুবই প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।