
সিরাজগঞ্জ থেকে ফারুক আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের রানিদিঘি গ্রামের হতদরিদ্র আবুল কাশেম জায়গা আছে ঘর নেই প্রকল্পের ঘরের জন্য আকুতি ও প্রাণান্তকর চেষ্টা। তার দাবি টাকা দিলে মিলবে ঘর। আমার টাকাও নেই,ঘরও নাই। সে আরো দুঃখ করে বলেন, আমি বৃদ্ধা মানুষ আমি আগের মত কোনো জরের কাজ করতে পারি না আমার স্ত্রী রাহিমা বেমগ রাত পোহলেই সন্তানদের খাবারের সন্ধানে ছুটেন অন্যের বাড়িতে। কিন্তু হতদরিদ্র আবুল কাশেমের কপালে এখনও জোটেনি সরকারি সহায়তা জায়গা আছে ঘর নেই প্রকল্পে একটি ঘর। সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জেরর প্রত্যেকটি ইউনিয়নে জায়গা আছে ঘর নাই’প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি এ প্রকল্পে বিনামূল্যে ঘর দেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিটি উপকারভোগীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ইউনিয়নে যাদের সামর্থ্য রয়েছে তাদেরও এই ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,এমন অভিযোগও রয়েছে। এই প্রকল্পে অনুমোদিত ঘরের তালিকা উপজেলা পর্যায়ে আসার পর ইউপি চেয়ারম্যানরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে নিজ নিজ ইউনিয়নের তালিকা সংগ্রহ করে কপি দিয়েছেন মেম্বারদের কাছে। এ সুযোগে মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বাররা তালিকাভুক্ত উপকারভোগীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঘর পাওয়ার সংবাদ দিয়ে ঘর পেতে হলে ২০ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন। আর টাকা না দিলে ঘর পাওয়া যাবে না বলে আসছেন। উপকারভোগীরা তাদের কথা বিশ্বাস করে সুদে এনে বা ধারদেনা করে ঘর বাতিল হওয়ার ভয়ে টাকা দিচ্ছেন মেম্বারদের কাছে। মেম্বাররা এই টাকার একটি অংশ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট চেয়াম্যানদের। এভাবে তারা উপকারভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি টাকা নেওয়ায় কোনো লুকোছাপা নেই। আবার উপকারভোগী অনেকে টাকা না দিতে পারলে মেম্বাররাই অন্যের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঘর তুলে দিচ্ছেন। এমনকি তালিকায় নাম দেওয়া রয়েছে, তদ্বির করে আগামীতে ঘর এনে দেওয়া হবে এমন আশ্বাস দিয়েও অগ্রিম টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রায় ইউনিয়নেই। সিরাজগঞ্জ জেলার তিনটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বত্রই এ অবস্থা বিরাজ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘর বরাদ্দ বাতিল হওয়ার ভয়ে দরিদ্র এসব মানুষ মুখ খুলতে চান না। তবে টাকা দেওয়ার কথা অনেকই স্বীকার করেছেন। টাকা নাদিয়ে ঘর না পাওয়া তিনটি উপজেলা সরেজমিনে ঘরে রায়গঞ্জ উপজেলা সলঙ্গা থানার ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আমশড়া গ্রামের বিধবা আজিরন বেগম, উল্লাপাড়া উপজেলা সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর উইনিয়নের রৌহদহ গ্রামের ভিক্ষক মজিবুর রহমান, তাড়াশ উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের রানিদিঘি গ্রামের আবুল কাশেমসহ তারা তিনজনই জানান, ঘর দেওয়া কথা বলে জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কাছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দাবি করেন। এ টাকা দিতে না পারলে ঘর দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন ভুক্তভোগীরা আরো জানান, আমরা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দিতে পারি নেই বলে আমরা জায়গা আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে ঘর পাইনি। সরেজমিনে তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নে রানিদিঘি গ্রামে হতদরিদ্র বৃদ্ধা আবুল কাশেম কপালে বয়স্ক ভাতা কার্ডজোটলেও এখনো জোটেনি বৃদ্ধা স্ত্রী সন্দুরির সরকারি সহায়তা ভাতার কার্ড। নেই জায়গা আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে ঘর। সমান্য বৃষ্টি হলেই দুই চালা ছোনের চাল বয়ে পানি পরে এমোতো বস্থায় ১০ জন ছেলে ও মেয়ে নিয়ে চরম দারিদ্রতার মধ্যে দিনযাপন করে আসছেন আবুল কাশেম। ঘর দিয়ে পানি পরায় তিনি এখন যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সে এই ক্রন্তিকালে চেয়ারম্যানসহ ওয়ার্ডের মেম্বার ও মহিলা ওয়ার্ড মেম্বাদের কাছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (হিরো) ও ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান ইমাম তালুদার (সহন)জানান, টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
তাড়াশ বারুহাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, কোন অভিযোগই ঠিক নয়। বরং এগুলো আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।