আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একমাত্র টেস্ট দলে থাকলেও ম্যাচ খেলা হয়নি তাসকিন আহমেদের। ওই টেস্টের পর এবারসহ তিন বার সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে পড়লেন তরুণ এই পেসার। তাই এবার তাসকিনকে তড়িঘড়ি করে মাঠে নামাতে চায় না টিম ম্যানেজম্যান্ট। ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর সবুজ সংকেত দিলেই শুরু হবে তাসকিনের বল হাতে ফেরার প্রস্তুতি।
এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার তাসকিনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে ফিজিও ক্যালেফাতো বলেছেন, ‘ভালো। তাসকিন কবে নাগাদ মাঠে ফিরবে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আর বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে চাচ্ছি না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ তাসকিনের এই ইনজুরিটা আগেও হয়েছে। এটা মনে হয় তৃতীয়বার। তাই অপেক্ষা করতে হবে। সময় দিতে হবে।’
ক্যালেফাতোর কথায় স্পষ্ট, তাসকিন সহসা বল হাতে নিতে পারছেন না। এই কারণে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শুরুর দিকে খেলতে পারবেন না ডানহাতি এই পেসার। এমন কি এনসিএলে তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত বললেও ভুল হবে না। তবে সুস্থ হয়ে গেলেও এনসিএলে খেলার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত তাসকিনেই নিতে হবে। কারণ এমন ইনজুরি থেকে উঠে এসে চারদিনের ম্যাচ খেলাটা ঝুঁকি তৈরি করবে। বরং অনুশীলনের মধ্যে থেকে ভারত সফরের টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাসকিনের এনসিএল খেলা প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, ‘ও তিন সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার পর বোলিং শুরু করতে পারবে। এর পরই আমরা বুঝতে পারব। এনসিএল খেলার সিদ্ধান্তটা ওকে নিতে হবে। ও কেমন বোধ করছে সেটা সে ভালো বলতে পারবে। যদি অল্প ব্যথাও লাগে তাহলে আমরা ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিব না। যদি ফিট হয় ভারত সফরের জন্য তাকে পাওয়া যেতে পারে।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রথমবার সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে পড়েছিলেন তাসকিন। এরপরে গত বছর একই ইনজুরিতে ভোগেন তিনি।