গতকাল সোমবার, দুপুর বেলা। বোর্ডিং, ইমিগ্রেশন শেষ করে থাই এয়ারের উড়োজাহাজে উঠে বসেছিলেন ক্যাসিনো গুরু বলে পরিচিত সেলিম প্রধান।
বিমানটি ছেড়েও দিয়েছিল। রানওয়েতে চাকা গড়াতে না গড়াতেই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বাধা। বিজনেস ক্লাসের এই যাত্রীকে বিমানের ভেতর থেকে অনেকটা নাটকীয় কায়দায় আটক করেন র্যাব-১-এর সদস্যরা।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ক্যাসিনো কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। অনলাইন ক্যাসিনোর বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রধান তিনি। দেশে অনলাইন ক্যাসিনোর এই হোতাকে র্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রাজধানীর ফকিরাপুলে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবসহ কয়েকটি ক্যাসিনোর আখড়ার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য রয়েছে। তিনি ক্যাসিনোর টাকা বিদেশেও পাচার করেছেন। চলমান অভিযানে নাম উঠে আসার পর গতকাল কৌশলে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি।
সেলিম প্রধানকে আটকের পর উত্তরায় র্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। এরপর রাতেই গুলশানে তাঁর ‘প্রধান স্পা’ নামের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। গতকাল রাত ১০টার দিকে অভিযান শুরু করা হয়। এ সময় সেখান থেকে অনেক ক্যাসিনো সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মদ ও দেশি-বিদেশি টাকা। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত ছিল।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান বলেন, সেলিম প্রধানের কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ মদ ও দেশি-বিদেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।