মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত দৃষ্টিনন্দন স্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়েছে। স্তম্ভটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য গ্লোরি অব বঙ্গবন্ধু’। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর নামে আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত স্তম্ভ এই প্রথম নিমার্ণ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছে।
৪ অক্টোবর ২০১৯ রোজ শুক্রবার বাদমাগরিব রাজধানী মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের আল্লাহ করিম জামে মসজিদ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর নামে মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নামের স্তম্ভ উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-১৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ সাদেক খান, এমপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ বজলুর রহমান’সহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, তাঁতী লীগ, শ্রমিক লীগ এবং মসজিদে মুসল্লিগণ’সহ প্রমুখ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান রাজিব’র নিজস্ব অর্থায়নে ভাস্কর্যটি নির্মান করায় প্রশংসা রয়েছে এলাকাবাসীর, পথচারীর ও দর্শনার্থীদের মুখে মুখে।
রায়েরবাজারে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ কবরস্থান নির্মাণ করে দেওয়ায় মোহাম্মদপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহারস্বরূপ এই স্তম্ভটি নিমার্ণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জমান রাজিব।
বঙ্গবন্ধুর নামে মহান আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম সংবলিত স্তম্ভটি নিমার্ণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানান তারেকুজ্জমান রাজিব কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই এলাকার উন্নয়নের জন্য নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ এই কাউন্সিলরের আল্লাহর ৯৯ নাম সংবলিত স্তম্ভটি নিমার্ণ করায় আল্লাহর নাম মানুষের স্মরণে আসবে এবং দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আল্লাহকে স্মরণ করবে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলর রাজিব কাজ-কর্মে যেমন চিন্তা-চেতনায়ও তেমন উন্নত। তিনি প্রথমবারের মতো ইসলাম ধর্ম প্রধান দেশে ধর্মীয় চিন্তা-ভাবনা থেকে এমন একটা স্তম্ভ নির্মাণ করেছেন। এটি তাদের মুগ্ধ করেছে।
এই বিষয়ে কাউন্সিলর রাজিব দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকাকে বলেন, মোহাম্মদপুর ঐতিহ্যগতভাবেই একটি মুসলিম নাম। আল্লাহর কাছে আমি শুকরিয়া আদায় করছি যে, আমি এই ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৯২টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব। কল্যাণমুখী এই কাউন্সিলরকে এলাকার গরিব-দুঃখীরা ভালোবেসে ডাকেন ‘জনতার কমিশনার’।