এম.টুকু মাহমুদ হরিণাকুণ্ডু থেকেঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারীদাহ গ্রামের এক সুদখোর মিলমালিকের পাতানো ফাঁদে পড়ে অসহায় পিন্টু সহ ৫ পরিবার অতিষ্ঠি।
ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় হতদরিদ্র হাড়িপাতিলের ব্যবসায়ীরা জানান,সামান্য ১০-২০ হাজার টাকার চাউল নিয়ে যা বছর শেষে সমপূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও মাসে এক হাজার টাকা সুদ দিতে হচ্ছে বলে জানান পিন্টু।
সুদখোরের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় হরিণাকুন্ডু প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন পিন্টু, বজলু, নাজের আলী, আলতাফ হোসেন ও ফিরোজ আলী- সুদখোর সেলিনার বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগে জানান, আমি একজন সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ী, আমরা শাখারীদাহ বাজারের বজলুর মিলের মালিক সেলিনার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদে ও বাকিতে কিছু খুদ, চাউল সরিষার তৈল,নারকেল তৈল নিয়ে থাকি যা বছর শেষে সম্মপূর্ণ টাকা পরিষোধ করিলেও নগদ দেওয়া বিভিন্ন টাকা জমা না করিয়া চক্রবিদ্ধি হারে কয়েক শতগুন বাড়িয়া আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যা সঠিক নয়।
উক্ত ঘটনাটি সঠিক তদন্ত্র করিতে জাতির বিবেক হরিণাকুন্ডু প্রেসক্লাব এর নিয়োজিত সাংবাদিক মহাদয়,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা চেয়ারম্যান,ওসি হরিণাকুন্ডু থানা,শৈলকুপা সার্কেল অফিস ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার,ও জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নিকট সুষ্ট বিচার করিবার আকুল আবেদন জানান,ভুক্তভোগি পিন্টু,বজলুর রহমান,ফিরোজ,সাজের আলী,আলতাফ হোসেন সহ লিখিত পেজে প্রায় বিশ জন সাধারণ জনতা।
সরোজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে পিন্টু সহ অনেকে উপস্থিত হয়ে বলেন,আমরা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ, সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ের ওপর নির্ভর করে চলে আমাদের সংসার। এর মাঝে বন্ধু সেজে সেলিনা খাতুন, উপকারের নামে আমাদের পেটে খাওয়ার জন্য তার মিলের চাল-খুদ ও তৈল দিয়ে এখন ৬লক্ষ টাকা দাবি করে মিথ্যা মামলা করেছে যা সম্পর্ণ মির্থ্যা ও বানোয়াট এবং সে নাকি বলে, আমরা স্টাপে স্বাক্ষর করেছি সেটাও তার সাজানো ও বানানো। আমরা কিস্থি তুলি কিস্থি দিই কিন্তু কোন স্টাপে সাক্ষর করিনি অথচ নোটিস পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। আমি ছাড়াও তার পাতানো সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকে ৫ হাজার টাকার চাল,তৈল নিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এভাবে সে আমার মত গ্রামে কমপক্ষে ১০/২০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে তার মিলের চাউল খুদ, ও তৈলের ফাঁদে ফেঁলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
এমঅবস্থায় ওই সুদখোর মিলমালিকের হাত থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের রক্ষার দাবি করেছেন উপস্থিত এলাকাবাসি। এ ব্যপারে স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম জানান,আপনি দেখুন এই বাড়ীতে কি ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া যায়, যায় না। তবে সামান্য কিছু টাকা হয়ত পেতে পারে,যার জন্য অনেক বার স্থানিয় ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে,কিন্তু কাজে আসেনী।
এ ব্যপারে সেলিনা খাতুনেন নিকট জানতে গেলে বাড়ি না থাকায় তার মেয়ে ও স্বামী বলেন, আমরা পিন্টু সহ অনেকের কাছে নগদ টাকা পাব যার প্রমাণ স্টাপে সাক্ষর আছে,আমার স্ত্রী বাড়ী আসলে আপনারা আসুন দেখাব এ ব্যাপারে কোটে মামলা চলছে কোটই আমার ব্যবস্থা করবেন।
ঘটনা প্রসংঙ্গে হরিণাকুন্ডু থানার এস আই মো: জিয়াউল হক জানান, আমি আমার তদন্তে ও সাক্ষপ্রমাণের দ্বারা প্রাথমিকভাবে টাকা নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি।