পুনে টেস্টে ভারতের ৬ শতাধিক রানের জবাবে মাত্র ২৭৫ রানে গুটিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ ম্যাচে তৃতীয় দিনে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো নাকানি-চুবানি খাইয়েছে ভারতীয় বোলাররা। উমেশ যাদব ও আর অশ্বিনের সামনে তারা দাঁড়াতেই পারেনি। কেশব মহারাজ শাসনের চেষ্টা করেছিলেন বটে! কিন্তু এত রানের বোঝা নিয়ে কি আর খোলা মনে ব্যাটিং করা যায়! তার ৭২ রান আর ভার্নন ফিল্যান্ডারের ৪৪ রানের ইনিংস প্রোটিয়াদের মান রেখেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম পাঁচজন ব্যাটসম্যানের রান যথাক্রমে- ৬, ০, ৩০, ৮ এবং ৩। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনের টপ অর্ডার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লেও লোয়ার অর্ডার লড়াই চালায়। শেষ দুটি উইকেট তুলতে কালঘাম ছুটেছিল ভারতীয় বোলারদের। শেষ পর্যন্ত দিনের খেলা ১.২ ওভার বাকি থাকতেই ২৭৫ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা পিছিয়ে আছে ৩২৬ রানে।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে, কোহলি কি চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো-অন করাবেন! দুই দিনে সব মিলিয়ে ১০৫.৪ ওভার ফিল্ডিং করেছে ভারত। ফলে কোহলি হয়তো চতুর্থ দিন আর ফিল্ডিং করতে চাইবেন না। সেক্ষেত্রে তিনি আবার ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। পরিসংখ্যান বলছে, গত এক দশকে কখনই ফলোঅনে পড়তে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমে এই প্রথমবার ফলোঅন এড়াতে ব্যর্থ হয়েছে ক্রিকেট বিশ্বে ‘চোকার’ হিসেবে খ্যাত এই দলটি। তাছাড়া ভারত কখনই প্রোটিয়াদের ফলোঅন করায়নি।
তবে তৃতীয় দিনে ভারতীয় দল কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি। শেষের দুটি উইকেট ফেলতে অনেকটা সময় ব্যয় করে ফেলেন ভারতীয় বোলাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন ফাপ ডু প্লেসির ৬৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের কথা না বললেই নয়। শেষের দিকে লড়াই চালানো কেশব মহারাজকে তুলে নেন অশ্বিন। কিন্তু তখন দিনের খেলার আর চার ওভারের মতো বাকী ছিল। এটাই কেশব মহারাজের জীবনের সেরা ইনিংস। এরপরেই দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
মন্তব্য