
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ গাজীপুর মহানগরের সভাপতি হেলাল উদ্দিন হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল এর নামে ছাত্রলীগের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস তার ফেসবুক আইডিতে অভিযোগ করে বলেছেন, হেলাল উদ্দিন হেলাল নামে একজন উপ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক পদ ব্যবহার করে ফেস্টুন ব্যবহার করেছেন অথচ এই নামে ছাত্রলীগের এই কমিটিতে কারো নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এটি রীতিমতো প্রতারণা। মেহেদি হাসান তাপস তার ফেসবুক আইডিতে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন হেলাল নামে কে এই ব্যক্তি? কীভাবেই বা কোন ক্ষমতার বলে তিনি ছাত্রলীগের পদ ব্যবহার করে নিজেকে জাহির করছেন এবং সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন।
তাপস তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নিকট বিষয়টির জোর তদন্ত দাবি করেছেন।
এধরনের অনুপ্রবেশকারী নেতাদের কারণেই বারবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বদনাম হচ্ছে এধরনের অনুপ্রবেশকারী স্বার্থান্বেষী মহল কে স্তব্ধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কে আরো অনেক বেশি বদনামের ভাগিদার হতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন।
ছাত্রলীগের কেউ না হয়েও কিভাবে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে ফেস্টুন ব্যানার লিখে নেতাকর্মীদেরকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছেন, বিষয়টি যেন ছাত্রলীগ তথা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখেন, সে ধরনের দাবি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস এবং উপ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তিনজন তারা হলেন-মোঃ আরিফ মাহমুদ ৭১ হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মোঃ আরিফ হোসেন এবং তৃতীয় জন রনক জাহান রাইন। সুতরাং হেলাল নামে এই কমিটিতে কারো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং সেগুলোর বেশকিছু আদালতে বিচারাধীন। কিছু মামলার রায়ে আদালত কর্তৃক ইতিমধ্যেই তার সাজা হয়েছে।

এবং কিছু মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। সে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল হত্যাচেষ্টার মামলায় ইতিমধ্যে তার সাজা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে সে প্রতিনিয়ত মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে রাজনৈতিকভাবেই মিথ্যে রাজনীতির পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে প্রতারিত করে আসছে এবং সাইন বোর্ডে, ব্যানারে নিজের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে অনেক সময় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে।
এসব বিষয়ে থানায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন ওরফে পিচ্চি হেলালের সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার পর অবশেষে মোঠোফোনে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, সে দাবী করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অফিস থেকে জানানো হয় তাকে উপ-মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক করা হয়েছে এবং সে নিজেকে ওই কমিটির সম্পাদক বলে দাবি করেন।
কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক কমিটির সম্পাদক তার এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে অভিহিত করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হেলালের সাথে মারিয়া নামে এক তরুনীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হওয়া সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে, হেলাল বলেন, আপনি আমাকে রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করেন নারী সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবেন না তাহলে আপনার প্রশ্নের কোন উত্তর আমি দিব না। প্রকাশ থাকে যে সম্পত্তি হেলালের সাথে মারিয়া নামে এক তরুনীর বিভিন্ন অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল গাজীপুর মহানগরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এর ভাড়ারি পাড়া এলাকার কবির উদ্দিনের সন্তান। তার বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগকে তিনি রাজনীতির প্রতি হিংসা বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।