মোঃনাজমুল হোসেন শ্রীপুর থেকেঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার কিছু অংশে
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের যেখানে সেখানে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করার ফলে প্রাণহানিসহ ঘটছে দুর্ঘটনা, যানজট ও সাধারণের নানা বিড়ম্বনা। দুর্ঘটনায় গত তিন মাসে অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এর অন্যতম দায়ী এ পার্কিং। শ্রীপুর পৌরসভার মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় মহাসড়কের দু’পাশে সব সময় ২০-২৫টা কভার্ডভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এ কারণে মাওনা চৌরাস্তার এই অংশে প্রায় যানজট ও দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।মহাসড়কের বাঘের বাজার এলাকায় কোয়ালীটি ফিড মিল, ঢাকা ফিড মিল, আনসার রোড এলাকায় নোমান গ্রুপের জোবায়ের স্পিনিং মিল, প্রেরামাউন্ড ট্রেক্সটাইল কারখানার মাল বুঝাই কভার্ডভ্যান গুলো মহাসড়কের দু’পাশ দখল করে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকে।
এ ছাড়া মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ এ ইয়ান মিলস্ ও নাসির গ্লাস কারনখানার এর কভার্ডভ্যান ও লরি মহাসড়কের উভয় পাশ কারখানাটির অঘোষিত পার্কিংয়ে পরিণত হয়েছে। জৈনাবাজারে প্রভাতী বনশ্রী পরিবহন মহাড়ককে বানিয়েছে বাস স্ট্যান্ড।
মহাসড়কের এক কিলোমিটার এলাকা জুরে ১০ থেকে ১৫ টা বাস দিনভর দাঁড়িয়ে থাকে।মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকে গাড়ি আর ফুটপাত দখল করে বেশ কিছু অস্থায়ী দোকান বসে প্রতিদিন। উপজেলাটি শিল্প কারখানায় ভরপুর হওয়ায় মহাসড়কের শ্রীপুর অংশে প্রতিদিন অন্তত ৩৫ হাজার গাড়ির চলাচল করে। ব্যস্ততম এই রাস্তার একপাশে দীর্ঘসারিতে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়ে যায়। পাশাপাশি দুটি গাড়ি চলার মতো জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। যার ফলে প্রায় সৃষ্টি হয় যানজট আর রাস্তা পার হতে গিয়ে শ্রমিক, কর্মচারী ও পথচারীরা পড়ে দুর্ঘটনায়।
অবৈধ পার্কিং করলে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয়, এই বিষয়ে জানতে মহাসড়কের এএ ইয়ান মিলস্ কারখানার সামনে পার্কিং করা কভার্ডভ্যানের (ঢাকা-ট-১১-৬১৩৭) চালক মো.রুবেল মিয়া বলেন, চট্টগ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ দিন হয়েছে আসছি। পাঁচ দিনই পুলিশ এসেছে প্রতিদিন ৩’শত বা ৪’শত টাকা নিয়ে চলে গেছে। মামলা দিয়েছে কি-না জানতে চাইলে বলে ‘টাকা না দিলে মামলা দিতো’ এসময় প্রায় ১০ থেকে ১৫টি কভ্যার্ডভ্যানের চালক ও হেলপাররা একই কথা বলেন।এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা হাইওয়ে পুলিশের সঠিক তৎপরতার অভাবকে দায়ী করেন। তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসে অবৈধ পার্কিং ও অন্যান্য অভিযোগে প্রায় ৩ শতাধিক মামলা হয়েছে। মামলা দিলেও চালক বা মালিকরা আবার একইভাবে পার্কিং করে রাখে। মামলা ভাঙানো পর্যন্ত নতুন কোনো মামলাও দেওয়া যায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
গাজীপুর হাইওয়ে অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহম্মদ খান বলেন, মহাসড়কের দু’পাশের অবৈধ পার্কিং এর বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশ সকল ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। মহাসড়কের পাশে যে সকল কারখানার গাড়ী পাকিং করা হয় তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্যও প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। এরপরও আমরা অভিযানগুলোধারাবাহিক করবো।