এম.টুকু মাহমুদ হরিণাকুণ্ডু থেকেঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুর বুক জুড়ে বিস্তৃত দীর্ঘ ৫৭ কি.মি. সড়ক এর মাঝে মহাসড়ক সংলগ্ন সাধুহাটি থেকে ঝাউদিয়া পর্যন্ত ২৭ কি.মি. ও হরিণাকুণ্ডু একতারা মোড় থেকে ঝিনাইদহ সদর দীর্ঘ ২০ কি.মি।
যেখানে বৈধ কোন যানবাহন না থাকায় অবৈধ নছিমন, করিমন, আলম সাধু, ইটভাঙ্গা ও পাখি ভ্যানের দ্বারা বেড়ইে চলেছে সড়ক দূর্ঘটনা। চলতি মাসে দূর্ঘটনার শিকার মাস শেষ না হতেই ২২, যার মাঝে নিহত হন ২ জন। সোমবার দুপুর ১১ টা ৩০ মিনিটে হরিণাকুণ্ডুর প্রধান সড়ক বৈঠাপাড়ায় আবারো ঘটে এ দূর্ঘটনা যার শিকার হন ৬নং ফলসী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বর মিজানুর রহমান। তিঁনি নিজ বাসা হতে হরিণাকুণ্ডুর উদ্দেশ্যে বের হলে দ্রুত গতিতে একটি ইজি বাইক সরাসরি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সামনাসামনি ধাক্কার দিলে আহত মিজানুর রহমান মাটিতে লুটিতে পড়ে। এসময় স্থানীয়রা তাকে ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত ইউপি মেম্মর ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক এর ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তব্যরত ডাঃ মোঃ আব্দুল্লাহ ইয়ামিন (পিয়াল) সাংবাদিকদের জানান সোমবার দুপুরে একটি ইজি বাইকে সাথে ধাক্কা লাগার পর রোগী আহতে হলে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এখনো তার অবস্থার উন্নতি ঘটেনি।
আহত মিজানুর রহমানের চাচা জানান,নিয়ন্ত্রনহীন লাইসেন্স বিহীন অবৈধ নছিমন-করিমনের দ্বারা প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা, যার মাঝে অনেকেই মৃত্যু বরন করছে। এব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে আফাঙ্গীর নামে একজন সমাজ সচেতন ব্যতিক্ত জানান, সাধুহাটি থেকে হরিণাকুণ্ডু দীর্ঘ ২৭ কি.মি. রাস্তা যেখানে কোন বৈধ যানবাহন চলাচল করেনা।
যার কারনেই ঘটছে এসব দূর্ঘটনা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না করলে কোন ভাবেই থামানো যাবেনা এ সড়ক দূর্ঘটনা।