ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কে কৈ কাশদহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বিধি বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন পূর্বক নির্বিঘেœ নানান অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, জালিয়াতিমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ সরকার যথাযথভাবে কমিটি গঠন না করে নানান অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে কমিটি গঠন করে মনগড়ামত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এমনকি, কোনরূপ কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান না করেই ব্যক্তিগত আক্রশে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কোহিনুর খাতুনের চলতি বছরের জুন মাস থেকে বেতনাদি বন্ধ করে দেন মর্মে গত ২২ অক্টোবর সহকারি শিক্ষক কোহিনুর খাতুনের লিখিত আবেদন পত্র দোষ স্বীকার পূর্বক তা গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা লগ্নে জনৈক আঃ জলিল সরকার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি থাকায় তাকে প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে রাখার বিধি থাকলেও তাকে কমিটিতে না রেখে অত্যন্ত গোপনে বিধি বহির্ভূতভাবে কমিটি গঠন করেন।
এব্যাপারে আঃ জলিল সরকারের পুত্র ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অভিভাবক মুকুল মিয়া দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেয়মান আলী সূ² তদন্ত সাপেক্ষে গত ২৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এছাড়া, বিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সৃষ্ট পদে নিয়োজিত একজন সহকারি শিক্ষকের তৃতীয় বিভাগে এইচএসসি পাশের সনদপত্রকে দ্বিতীয় বিভাগ দেখিয়ে প্রত্যয়ন করেন।
বিগত ৭ জানুয়ারি ১৯৯৩ ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালীন কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন ও জরুরী ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ সরকার তাঁর যোগদান পত্র দেখিয়েছেন। ৩ জানুয়ারী ১৯৯৩ ইং। যা, জালিয়াতিমূলক ও মনগড়ামত। এরপর, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম পরিচালনা না করে ছুটি ছাড়াই প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ সরকার দেশের বাইরে অবস্থান করেন। এদিকে, গোপনে ২০১৯ সালে তা স্বজনদের নিয়ে একটি নামমাত্র কমিটি গঠন দেখিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনার নামে ব্যাপক স্বেচ্ছাচারিতা ও জালিয়াতিমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন।
এব্যাপারে, সোমবার বেলা সোয়া ২ টার পর সাড়ে সাত মিনিটব্যাপী কথা হলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন- ’ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অত্র দপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে। এতে প্রধান শিক্ষক দায়ী ও দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।