ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃগাইবান্ধা জেলা পলাশবাড়ী উপজেলার জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের অনিয়মের চিত্র আর গল্প বা কাহিনী নয় বাস্তবতা। প্রকল্পের শুরুতেই উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় পরিচয় পত্র, ছবি ও টাকা নেয় একটি চক্র। এরপর গত অর্থ বছরে উপজেলায় জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পে ১ লক্ষ টাকা করে ব্যয়ে ১৮৪ টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায়। বর্তমানে এ প্রকল্পে প্রাপ্ত বরাদ্দের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু আগেই যদিও এসব প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলন করে উপজেলা প্রশাসন। এসব অর্থ উত্তোলনেও বিষয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হলেও অবশেষে কিছু কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখনো অনেক গুলো ঘর নির্মাণের কাজ চলমনা রয়েছে। যদি ব্যয়ের অর্থের অর্ধেক অর্থ ব্যবহারের মাধ্যমে দায়সারা ঘর নির্মাণ করা হলেও এ অর্থের বাকি অংশ বিশেষ কৌশলে পকেটস্থ করছে উপজেলা প্রশাসন মনোনীত একটি চক্র।
এছাড়াও দুর্যোগ সহনীয় ঘরের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয় হতে ২ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা করে ব্যয়ে ৩৯ টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া যায়। এসব প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে বলে উপজেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস সূত্রে জানা যায় ।
উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মাঝে বন্টন করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। এর মধ্যে উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের ১,২, ও ৩ নং ওয়ার্ড সদস্যের স্বামীর নামে একটি এক লক্ষ টাকার ঘর প্রদান করা হয়। এঘর নির্মাণের পর এসব ঘর প্রদানে যে অনিয়ম দুর্নীতি করা হয়েছে সেটির প্রমাণ আংশিক হলেও মিলছে। উপজেলার বরাদ্দ প্রাপ্ত নির্মাণাধীন ঘর গুলো নিম্ন মানের সামগ্রী যেমন ব্যবহার করা হয়েছে তেমনি ঘর পাওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তিরা বঞ্চিতও হয়েছে। পবনাপুর ইউনিয়নের ১২ টি পরিবারের মাঝে ১ লক্ষ টাকা করে ব্যয়ে ১২ টি ঘর এবং ৪ টি পরিবার কে দুর্যোগ সহনীয় ২ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা করে ব্যয়ে ৪ টি ঘর বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে বলে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানা যায়।
ইউপি সদস্য পেলো জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ঘর এসংক্রান্ত খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হোসেন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম সরকার ছোট বাবা আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে উক্ত ইউপি সদস্যের স্বামীর নামে প্রাপ্ত ঘর ভেঙ্গে একই গ্রামের অন্য একটি পরিবার কে দেওয়া হয়। সে পরিবারটিও স্বাবলম্বি বটে।
উল্লেখ্য, উপজেলায় বরাদ্দ প্রাপ্ত এসব ঘর অসহায় দরিদ্র মানুষের স্থলে সুপারিশের ভিক্তিতে স্বাবলম্বী পরিবার গুলো পেয়েছেন ও ঘর নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবী সচেতন মানুষের।