নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের তার গাও গ্রামের হোমিও ডাক্তার জহিরুল মৃধার বাড়িতে কাজের মেয়ে আমেনা আক্তার কে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ।
জানাযায় আমেনা আক্তার নামে ১৪ বছরের শিশুটি নরসিংদী শিবপুর উপজেলার দত্তেরগাঁও ভিটিপাড়া গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে, আগুনে পোড়া আমেনা আক্তার সাংবাদিকদের জানায় গত চার বছর পূর্বে আমার বাবা দেলোয়ার হোসেন আমার মাকে প্রথম বিয়ে করেন, আমার মার সাথে বনিবনা হলে আমার বাবা অন্যত্র বিয়ে করেন,
পরে আমার মা আমাকে রেখে নানুর বাড়ী চলে যান, গত চার বছর ধরে আমাকে আমার বাবার আত্মীয় হয় বলে আমাকে তার গাঁও গ্রামে হোমিও ডাক্তার জহিরুলের বাড়িতে কাজের জন্য পাঠায়,
কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাকে জহিরুলের স্ত্রী আমাকে মারধোর করতে শুরু করে । বিষয়টি আমি আমার বাবাকে জানাই, পরে আমার বাবা তার গাও এসে জহিরুলের বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে, পরে স্ত্রী হামিদা বেগম আমার বাবা দেলোয়ার হোসেনকে বলেন আপনার মেয়ে কোন কাজ কাম পারেনা তাই তাকে দুইএকটা কথা বলি, তাকে পড়াশোনার জন্য তাগিদ দেই, সে
হয়তো আপনার মেয়ে আপনাকে এসব বলেছে, তাকে মারধর করি, বিষয়টি হল আমরা চাইনা মা হারা মেয়ে টি স্কুলে পড়াশোনা করুক তাকে আমরা স্কুলে ভর্তি করাবো, পরে আমেনাকে ছোট তার গাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেই, আহত আমেনা জানাই বর্তমানে আমি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছি, গত ২৭ নভেম্বর বুধবার রাত আটটার দিকে বাড়ির পাশে রাস্তায় একটি নতুন সৌর বিদ্যুতের লাইট লাগায় ,
আমি তা দেখতে যাই, কিন্তু আমি বাড়িতে ঢোকার সময় আমার পিছন দিক দিয়ে কে জানি আমার কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়, আমি চিৎকার করতে থাকি আমার চিৎকারে কেউ আসেনি আমি নিজেই কল চেপে আগুন নিভাই, আমার শরীরের পিঠের অংশ পুড়ে যায়, পরে আমাকে আমার বাড়িওলা ভাই কোন ডাক্তার দেখায়নি , বাড়ির পাশের এক মহিলা আমার মাকে ফোন করে জানান, আপনার মেয়ে আমেনা আগুনে দগ্ধ হয়েছে ,খবর পেয়ে আমেনার মা, বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে জাহিরুলের
বাড়িতে আসে , এসে দেখে মেয়ে আমেনা মৃত্যুশয্যায় কাতরাচ্ছে,পরে আমেনার মা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন, আমেনার মা জানায় চিকিৎসা শেষে আমি আমার মেয়ে আমেনাকে আমার বাবার বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার চর সনমানিয়া
গ্রামে নিয়ে যাই,
পরে আমেনার মা বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন, পলাশ থানার তদন্ত অফিসার গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনাটি আমি শুনেছি,