[the_ad id=”31184″]হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আদালত তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তবে ভবিষ্যতের জন্য তাকে সতর্ক করা হয়েছে।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।
চাঁদাবাজির অভিযোগে গত ২৭ জুন কিশোরগঞ্জ আদালতের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলার আসামি মো. আতাহার আলী ও সিরাজ উদ্দিনসহ ১১ জন আসামি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন দেন এবং মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। এরপরও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল বারী মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।
এ কারণে হাইকোর্ট গত ১২ নভেম্বর এক আদেশে সংশ্লিষ্ট বিচারককে তলব করেন। তাকে ৩ ডিসেম্বর সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ আদেশে ওই বিচারক আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন।
তিনি আদালতকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ বুঝতে না পারায় এমনটি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না। এ অবস্থায় আদালত তাকে অব্যাহতি দেন। [the_ad id=”31184″]