কলাপাড়ায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ ৯ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নাওয়ভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত দের সবাই কে কলাপাড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রাতমিক চিকিৎসা দওয়া হয়েছে। কুকুর পাগল হয়ে মানুষ কামড়াচ্ছে এ কথা ছড়িয়ে গেলে এলাকাবাসী দের মধ্য একধর নের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসিরা জানায়, খুব ভোরে নাওভাঙ্গা গ্রামের গাজী বাড়িতে ফারিদা বগম(৫৫) নামের এক বদ্ধা ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে গেলে প্রথমে তাকে কালো রংয়ের একটি কুকুরে কামড় দেয়। পরে একই এলাকার ওই একই কুকুর আমিরুল(৩৫), মাহফুজা(৪০), পারুল(৫৫), জাকারিয়া(২০), দাইয়ান(৩২) সহ একটি ছাগল ও কয়েকটি মুরগি কে কামড়ায়। এছাড়া কিছুক্ষন পরে সিয়াম(১১) ও জান্নাতুল(৬) নামের দুই শিশু কে কামড়ায়। পরে স্তানিয়রা কুকরটি কে ধাওয়া করে মেরে ফেলেছে বলে জানা যায়। এদিকে বেওয়ারিশ কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। প্রায়শই কুকুরের কামড়ে কিংবা ধাওয়া খেয়ে আহত হয়েছেন অনেকেই। কলাপাড়া পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কুকুরের নিধন কিংবা বিষমুক্ত ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কলাপাড়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সহকারী চিকিৎসক কবির হোসেন চ্যানেল দেশ বাংলা কে জানান, কুকুরে কামড়ে আহত হয়ে সকাল থকে এ প্রজন্ত আটজন চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে কান ভ্যাকসিন নেই। নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ চ্যানেল দেশ বাংলা কে বলেন, বিগত দিনে এধরনের ঘটনায় গৃহপালিত কুকুর দের মালিক দের সাবধান করে দওয়া হয়েছে, সতর্কিত না হলে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্তা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে উপযুক্ত কঠিন পদক্ষে নওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, কুকুর মারার উপর আদালতের নিষেদাজ্ঞা থাকায় কোন ব্যবস্তা নওয়া যাচ্ছেনা। তবে কুকুর বিষমুক্ত রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।