বকুল সরকার, গাজীপুর মহানগর প্ররতিনিধি ।
রংপুর পীরগাছা থানার মোসাঃ নুরেজা বেগম ঝিনাইদহ জেলার আব্দুর রাজ্জাক হাবিলম, পিতাঃ মোঃ আলম খান, মাতাঃ মরিয়ম বেগম, গ্রামঃ লক্ষিকুন্ড, ডাকঘরঃ সবদেলপুর, থানাঃ কোটচাঁদপুর বিগত কয়েক বৎসর পূর্বে নূরেজাকে প্রতারণার ফাদে ফেলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর থেকে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরী পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বড়বাড়ীতে মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। বাচ্চা গর্ভে থাকার পরও ঝিনাইদহ এলাকার প্রতাবশালী লোকদের জোগসাজসে প্রতারক আব্দুর রাজ্জাক নূরেজার বাবা ও তাকে ঝিনাইদহ নিয়ে ২৯/০৬/২০১৯ইং তারিখে জোরপূর্বক তালাক নামায় স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করে এবং এলাকার মাতব্বর ঘরোয়া বৈঠকে ৭০,০০০/- টাকা নূরেজাকে দিতে বলা হয়। সেই অনুপাতে প্রতারক আব্দুর রাজ্জাক তাকে ৭০,০০০/- টাকা দিয়ে কৌশলে রাস্তায় তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আক্রমন করে টাকা ছিনিয়া নেয়। ঝিনাইদহ থানার ওসি এই বিষয়ে অবগত আছেন। তখন অবসহায় নূরেজা তার বৃদ্ধ পিতাকে নিয়ে গাজীপুরে চলে আসে। সেখান থেকে নূরেজাকে ফেলে তার পিতা রংপুরে চলে যায়। অসহায় নূরেজা তখন বাধ্য হয়ে ৩১/০৭/২০১৯ইং তারিখে প্রথম শ্রেনির ম্যাজিষ্ট্রেট মারফতে তালাক প্রত্যাহার এর হলফ নামা প্রতারক আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে নেওয়া হয়। এর পর থেকে প্রতারক আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন সময়ে নূরেজার সন্তানকে অস্বীকার করে মেরে ফেলার হুমকি দুমকি দিতে থাকে। তখন সে বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের দারস্ত হয়। আমরা আসা করব ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতির বিরুদ্ধে সুদ্ধি অভিজান চালাচ্ছেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন। নূরেজার বিচার যাতে সঠিক ভাবে পায় এবং তার সন্তান পিতার অধিকার ফিরে পায় আমরা সেটা আশা করি।