শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দাবি আদায়ের নামে কেউ রাস্তা অবরোধ করলে কঠোর ব্যবস্থা : আইজিপি বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ধ’র্ষ’নের চেষ্টার ঘটনায় আসামী গ্রেফতার ও আদালতে প্রেরন। বৈরি হরিনমাড়ী সমাজকল্যান সংস্থা র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে গাজীপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন উত্তরায় রোজাদার পথচারীদের মাঝে বিএনপির ইফতার বিতরণ  রামগঞ্জে বিদ্যালয়ে না গিয়েই বেতন নিচ্ছেন লামনগর একাডেমির শিক্ষিকা অনুমোদনহীন হাসপাতালে সয়লাভ গাছা, রয়েছে পরিবেশ ও সংক্রামক ব্যাধির ঝুকি মোহনপুরে নির্বাচন অফিসে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ৩১ দফা কর্মশালা গাজীপুর মহানগর -বি এন পি কালিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের আয়োজনে আলোচনা দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠিত এইচ এস সি পরীক্ষার ফরম পুরনে অতিরিক্ত টাকা আদায়  যৌথবাহিনীর আভিযানিক ফুটেজ ডিলেট না করায় গাজীপুরে সাংবাদিককে মারধর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঈদবস্ত্র বিতরণ করেন হাজী আব্দুল মজিদ মন্ডল ফাউন্ডেশন। হিলিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে পুর্নবহাল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন নারী ও শিশু ধর্ষণ প্রতিরোধে ধিক্কার সিরাজগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তিন ইটভাটায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা, একটি উচ্ছেদ বগুড়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ভুয়া এসআই আটক ধুনট থানার ওসি’র সঙ্গে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের নেতা কর্মীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ বগুড়া জেলা যুবদলের মাসব্যাপি ইফতার বিতরণ মাদ্রাসার নিলামের টাকা আত্মসাৎ, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ। 

বেনাপোলে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ,ঘাটতি ১১৭৪ কোটি টাকা

 

মোঃ আয়ুব হোসেন পক্ষী,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি:

বেনাপোল কাস্টমস হাউজে ক্রমেই কমছে রাজস্ব আহরণ। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে এক হাজার ১৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
স্থলবন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, অবকাঠামো সুবিধার ঘাটতি আর অনিয়মের কারণে রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি হয়েছে। তবে এটি শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।


বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দুই হাজার ৪২৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৫৫৩ কোটি ৮০ লাখ, আগস্টে ৫০৬ কোটি ২৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৪০৫ কোটি ১০ লাখ, অক্টোবরে ৪২৮ কোটি ৩১ লাখ ও নভেম্বরে ৫৩৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
এর বিপরীতে গত পাঁচ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ২৫২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ফলে প্রথম পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতি থেকে গেছে এক হাজার ১৭৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ১৪৫ কোটি টাকা এবং এর আগের অর্থবছর রাজস্ব ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এ বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়। সেই হিসেবে স্থলবন্দরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা। পণ্য আমদানির বেলায় স্থলবন্দরে চলে নানা অনিয়ম। কখনও পণ্য আমদানিতে মিথ্যা ঘোষণা, আবার ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য এনে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দেয়া হয়।

এতে শুল্ক আয় কমে যাচ্ছে। সব বন্দরে আমদানি পণ্যের ওপর রাজস্ব পরিশোধের নিয়ম এক হতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দরে যে পণ্যের শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয় চার ডলার, বেনাপোল বন্দরে একই পণ্যের শুল্কায়ন ধরা হয় সাড়ে চার ডলার। দেশের সব বন্দর থেকে বেনাপোলে সবচেয়ে বেশি মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়। এ কারণে অনেক আমদানিকারক আমদানি করছে না। তবে বৈধভাবে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করায় রাজস্ব ঘাটতির কারণ।
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্র জানায়, ৯০ একর জমির ওপর বেনাপোল স্থলবন্দরের অবস্থান। ৫৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ বন্দরে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ পণ্য ওঠানামা করে। দেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে চলমান ১২টি বন্দরের অন্যতম বেনাপোল স্থলবন্দর। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানির জন্য দেশে যতগুলো বন্দর রয়েছে তার মধ্যে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর হলো বেনাপোল।
এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের অন্য যেকোনো বন্দরের তুলনায় উন্নত। বেনাপোল থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। সে কারণে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ পণ্য এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খান বলেন, বেনাপোল বৃহৎ স্থলবন্দর হলেও এর কোনো সুফল আমরা পাচ্ছি না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বলেন, স্থলবন্দরের ধারণক্ষমতা ৫৯ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখানে সবসময় পণ্য থাকে কমপক্ষে দেড় লাখ টন। জায়গার অভাবে পণ্য খালাস করতে না পেরে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে। খোলা জায়গায় পড়ে থেকে মূল্যবান পণ্যসামগ্রী নষ্ট হয়। ব্যবসায়ীরা বৈধ সুবিধা পেলে স্থলবন্দর থেকে বর্তমানে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পাচ্ছে তখন দ্বিগুণ আয় হবে।

[the_ad id=”31184″]
বেনাপোল কাস্টম হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, পণ্য চালান খালাসে আগের চেয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বেড়েছে। শুল্ক ফাঁকি বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ করায় কিছু ব্যবসায়ী বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়েছেন। বিশেষ করে রাজস্ব বেশি আসে এমন পণ্য চালান কম আমদানি হচ্ছে। এতে রাজস্ব কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বেনাপোল স্থলবন্দরের কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (প্রশাসন) আবদুল জলিল বলেন, অর্থনীতিতে বেনাপোল স্থলবন্দরের বিপুল অবদানের পাশাপাশি বেনাপোলের পারফরম্যান্সও অনেক ভালো। এরই মধ্যে আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। জায়গা সংকটে বর্তমানে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ ও উন্নয়নকাজ চলছে।

এছাড়া বেনাপোল বন্দরকে আরও উন্নত করতে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যা সম্প্রতি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। কার্গো ভেহিকল টার্মিনাল হয়ে গেলে যানজট একেবারেই থাকবে না। ফলে পণ্য পরিবহন বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page আমাদের পেজ লাইক করুন
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com