এম.টুকু মাহমুদ হরিণাকুণ্ডু থেকেঃ
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে কিছু সার্থন্যাশি মহলকে মেনেজ করে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে চলছে উপজেলার ১৭টি ইটভাটা। এর সবগুলো ভাটার একটিরও নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। উপজেলার নাওমারা ও কেস্টপুর নামক স্থানের মাঝে ফসলি জমি নষ্ট করে তৈরী করা হয়েছে স্টোন ভাটার ইটের খোলা যেখানে রাখা হচ্ছে হাজার হাজার পিছ ইট।
নাম গোপন রাখতে হবে এই শর্তে দখলপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক সাংবাদিককে বলেন,ফসলী জমিতে ইটের ভাটা তৈরী করাই আমাদের পান ক্ষেতের খুব ক্ষতি হচ্ছে। ইটের কালো অন্ধকার ধুয়ার ফলে পানের পাতা কালো হয়ে যাচ্ছে তাছাড়া পান পাতার উপর কাল গরম আগুনের ফুলকি পড়ার কারণে অসময়ে পাতা ঝরে যায়,পেকে যায়,দাগ হয়ে যায়,যা পরে ১শ টাকার পান মাত্র ৫টাকায় বিক্রয় করতে হয়,বেশির ভাগ আবার তাও হয়না অনেক সময় ফেলে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত ব্যাবস্থা না নেয় তাহলে গত বছরের মত এবারও কয়েক লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হবে। কেষ্টপুর গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি বলেন,আইন আছে আইনের প্রয়োগ নেই থাকলে মেইন রাস্তার পাশে ফসলী জমি নষ্ট করে ইটের ভাটা হতনা। আবার ইট রাখার জন্য স্টোন ভাটায় নতুন করে তৈরী হয়েছে ইটের খোলা। যেখানে এবারও ধান ভূট্টা,কলা চাষ করা হয়েছে। পত্র পত্রিকায় পড়েছি ফসলী জমি নষ্ট করে কোনকিছু করা যাবেনা। কই কিছুই তো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এবার খোলা তৈরী করেছে আগামীবার আগুন জ্বালাবে। কিছুই হবে না। তাছাড়া একী জায়গায় তিনটি ভাটা যে গুলো হলো স্টোন,বিজলী আর নতুন করে রয়েল ভাটা যার একটিতেও এক আনা কয়লা পোড়ানো হয় না। সবগুলোতেই কাট পোড়ানো হচ্ছে। যার ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে ব্যাপক মারাত্বক ভাবে হুমকির মূখে পড়ছে গাছপালা। আর এসবি চলছে কিছু স্বার্থান্যাশি মহলকে ম্যানেজ করে। যারা সবাইকে ম্যানেজ করে, যার যেভাবে সম্ভাব।
সরো জমিনে স্টোন,বিজলী ভাটায় গেলে ভাটার ম্যানেজার বাবু বলেন, ছবি তুলে কি হবে বলেন,আপনাদের কত দিতে হবে। কত দেখলাম বলেন,কতদেব। সবাই নিচ্ছে আপনারাও নেন। আপনারা না নিলে নিউজ করেন,যারা তদন্তে আসবে তারা ঠিকিই নেবে এভাবেই চলছে চলবে। মাঝখানে আপনারা ভাই ফাকে পড়বেন।[the_ad id=”31184″]
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা সাংবাদিককে জানান,ফসলী জমি নষ্ট করে ইটভাটা বা ইটের খোলা তৈরী করা বেআইনী। আর কয়লার পরিবর্তে কাট পোড়ালে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চোধুরী বলেন, ইটের ভাটার কালো ধুয়ার কারণে বিশেষ করে পান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়। যার ফলে পানপাতা দ্রুত পেকে যায়,ও ভাটার কাল আগুনের ফুলকির কারণে পানপাতায় দাগলাগে, ফলন কমে যায় পানের গুনাগত মান নষ্ট হয়। তাছাড়া ইটভাটা তৈরীর কারণে ফসলী জমি হুমকির মূখে পড়েছে। উপজেলা পঃপঃকর্মকর্তা ডাঃজামিনুর রশিদ বলেন,ইটের ভাটার কালো ধুয়ার কারণে শরীরে লান্সে ধোয়া যায় যার ফলে ,এ্যাজমা জনিত রোগ হয়।
এব্যাপারে ভাটা মালিকদের সাথে কথা বললে রয়েল ভাটার মালিক বলেন আমার ভাটাটি সবে মাত্র এই বছর শুরু করেছি যার ফলে এখনও কনো কিছু গোছাতে পারে নি আগামি বছর সব নিয়মনীতি মেনেই ভাটা পরিচালোনা করা হবে। অন্যরা বলেন, এ সব বলে লাভ কি ? কোনো ভাটারি অনুমোদন/ছাড়পত্র নেই। ধাবাহিক তিন পর্বের ১ম পর্ব, (পরের পর্বে যা থাকবে) বিভিন্ন দিবসে কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে চাদা আদায় করেন…