এম.টুকু মাহমূদ হরিণাকুণ্ডু থেকেঃ
ইউ এনওর সু-দৃষ্টিতে মুহূর্তেই সড়কের কাঁদা পরিস্কার হলো
“সস্তি ফিরল সাধরণের মাঝে”
ইটের ভাটার কারণে পাঁকা সড়ক এখন মরণ ফাঁদ শিরোনামে সংবাদটি ফেজবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পরই বিষয়টি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা’র নজরে গেলে তিতি তৎক্ষনিক ব্যাবস্থা নেন। আর এর ফলে সাধুহাটি হতে ঝাওদিয়া নামক দির্ঘ ২৭ কিঃমিঃ যাতাযাতের একমাত্র প্রধান সড়কটির প্রাণ ফিরে পাই। যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকা আতংঙ্ক কেটে আবার স্বাভাবিক সস্তিতে চলাচল শুরু করেছে। এব্যাপারে বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার এর সাথে কথা বললে জানা গেছে,গত রাতেও কেষ্টপুর স্টোন ও বিজলী ভাটার সামনের রাস্তা মাটির রাস্তায় পরিণগত ছিল,শুনেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মাধ্যমে সেটি এখন আবার ঠিক হলো ধন্যবাদ নির্বাহী অফিসারকে। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার সাধুহাটি হতে ঝাওদিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ ২৭ কিঃমিঃ প্রধান সড়ক হিসাবে ধরা হয়। আর এ সড়কের আশেপাশে গড়ে উঠেছে স্টোন, বিজলী,বিশ্বাস সহ কয়েকটি ইটের ভাটা। যার মাটি বাহী ট্রাক,লড়ি,লাটাহাম্বাতে বিভিন্ন যায়গা হতে মাটি সংগ্রহের সময়ে পাঁকা রাস্তার উপর মাটি পড়ে এবং সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদায় পরিণত হয়,বলে জানান,দখলপুর গ্রামের এম.শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এসব ভাটাই মাটি সংগ্রহের সময় রাস্তায় মাটি পড়ে যার কারণে গণপরিবহনের যাতায়াতে বিগ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, ঘটতে পারে যে কোন সময় জীবন নাশকের মত দূর্ঘটনা। ভাটার এই গাড়ী গুলোর নাই কোন দক্ষ ড্রাইভার,অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিশোর ড্রাইভার দ্বারা গাড়ী চালানো হচ্ছে। তাছাড়া কেষ্টপুর হতে দখলপুর (নাওমার) পর্যন্ত রোডটি জনগনের জন্য এখন হয়ে দাড়িয়েছে মরন ফাঁদ। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃষ্ট আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানাগেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মৃদু বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়। রাত ১১টার পর থেকে হরিণাকুন্ডুতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মৌসুমী বায়ুর প্রভাব আর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে আরও এক থেকে দুই দিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে । এদিকে শীতের তিব্রতা আরও বেড়ে গেছে রাতে গুঁড়ি গুঁড়ির বৃষ্টির কারণে জনজীবনের ছন্দ পতন হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা সাংবাদিকদের’কে জানান,ঘটনাটি জানার পর ভাটা মালিকদের রাস্তা পরিস্কার করতে জানিয়ে দিয়েছি। দ্রুত এ রাস্তা পরিস্কার না করা হলে যেকোন সময় প্রাণনাশের মত দুর্ঘটানা ঘটবে বলে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংঙ্ক বিরাজ করছে।