শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ,এ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। মহেশপুরে কিশোরীদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ ভবানীপুরে আ.লীগ নেতা ও যুবদল নেতার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা “শ্রীপুরে চলাচলের সড়ক বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে শতাধিক পরিবার” হানারচরে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচী বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ধুনটে ফসলি জমির মাটি খননের অপরাধে ইটভাটা মালিকের জরিমানা উত্তরায় অ’বৈধ অটোরিকশার নিয়ন্ত্রণহীন- বেড়েছে দু’র্ঘ’ট’না ‘গাজা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি’ ঘোষিত ডা. ফয়েজ হ’ত্যা: শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরাইলি হামলায় ২৯ জন নি’হ’ত নিখোঁজ সংবাদ ছু’রিকাঘাতে আহত অভিনেতা সাইফ আলি খান লস অ্যাঞ্জেলেসে এবার ‘আগুনে টর্নেডোর’ শঙ্কা! গাজীপুরে দিনব্যাপী ‘মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর সামিট-২০২৫’ দূর্গাপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায়  অভিযোগ দায়ের মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন  দূর্গাপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টায় থানায়  অভিযোগ দায়ের  নিত্যপণ্যের বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মহেশপুরে ইরেসপোর উদ্যোগে কিশোরীদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ মান্দায় কৃষকদের নিয়ে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত,

পলাশবাড়ীতে প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার তদন্ত অনুষ্ঠিত

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার তদন্ত রোববার সকাল ১০ টায় আন্দুয়া ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, সরকার সারাদেশে একযোগে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো জাতীয় করনের ঘোষনা দিলে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত দেখিয়ে আন্দুয়া ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে ও একটি টিন সেডের ঘড় এবং প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ করে জাতীয় করনের অনুমতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাবনা প্রেরন করে উপজেলা শিক্ষা কমিটি।

জাতীয় করন প্রস্তাবনায় আন্দুয়া ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হকসহ ৪ জন সহকারী শিক্ষকের নাম এই প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়।

দীর্ঘদিন বিদ্যালয়টি জাতীয় করন না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা মানবেতর জীবন যাপন করতে শুরু করে।এক পর্যায়ে তারা হতাশ হয়ে পরে!

তারপরও বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হকের নেতৃত্বে পাঠদান অব্যাহত থাকে।

এদিকে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বিদোৎসাহী সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা একই পরিবারের সদস্য হওয়ায় তারা গোপনে প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হককে বাদ দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে পায়তারা শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ম্যানেজিং কমিটি প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হককে স্বেচ্ছায় চাকুরি হতে অব্যাহতি দেখিয়ে একই পদে মেহেদী হাসান রুবেল নামে তাদের পরিবারের একজনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পত্র করে।

মেহেদী হাসান ২০১১ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গোড়াই মির্জাপুর টাঙ্গাইল এলাকায় অবস্থিত নাহিদ কটন মিলে চাকুরীরত ছিলেন বলে অনুসন্ধানে জানাযায়।

তারপর ও তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত দেখিয়ে ভুয়া হাজিরা তৈরী করে নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাগজে কলমে দাবী করেন।

সম্প্রতি বিদ্যালয়টি জাতীয় করনের গেজেট প্রকাশিত হয়। প্রজ্ঞাপনের খসরা তালিকা প্রকাশিত হলে বিধি সম্মত ভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে জিয়াউল হকের নাম প্রকাশিত হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য,সহকারী শিক্ষকবৃন্দ,একই পারিবারের হওয়ায় তারা প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হককে স্কুলে না আসার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখেন।

পরবর্তীতে তারা প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হকের নাম পরিবর্তন করে তারস্থলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মেহেদী হাসান রুবেলের নাম অন্তভুক্ত করার জন্য মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন স্থানে দৌড় ঝাপ শুরু করে।

এরইধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলামকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করলে ২৮ ডিসেম্বর রোববার তিনি সরেজমিনে তদন্ত সম্পন্ন করে।

তদন্ত শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান বিধি সম্মত ভাবে যার কাগজ পত্র সঠিক সেই হবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page আমাদের পেজ লাইক করুন
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com