নাহিদ পারভেজ, কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি \
আয়রন ব্রিজের লোহার অনেক পিলারই ড্যামেজ হয়ে ভেঙ্গেগেছে। ব্রিজের নিচে বঁাশ বেধে পিলার সোজা করে জোড়া দিয়েছেন। উপড়ের অনেক লোহার এঙ্গেল মরিচা পড়ে বাকা হয়ে গেছে। ব্রিজের কংক্রিটের স্লিপার গুলাে আলাদা ভাগ হয়ে গেছে। অনেক স্লিপার ভঙে নিচে পড়ে গেছে। লোহার পাত গুলাে নিচের দিকে ঝঁুকে বাকা হয় পরে ভেঙে যাচ্ছে। সকল এ্যাঙ্গেল জীর্ন দশায় পরিনত হয়েছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের দশটি গ্রামের সাথে বানাতী বাজারের যােগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজটি এমন বহাল দশায় পরিনত হয়েছে।
স্থানিয়দের ধারনা, প্রায় পঁচিশ বছর আগে বানাতি পাড়া খালের উপর এ ব্রিজটি নির্মান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে সঠিক কবে এ ব্রিজটি নির্মান হয়েছে সটা বলতে পারছেনা কেউ। নির্মানের পড়ে এ ব্রিজটি সংস্কার কিংবা পুর্ন নির্মানের উদ্যােগ নেয়নি কেউ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বানাতীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ব্রিজ পাড় হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যাতায়াত করেন। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের মাঝের হাওলা, গালবুনিয়া, চিংগুড়িয়া, মহল্লাপাড়া, নয়াপাড়া, দশকানী, মরিচবুনিয়া, ছােনখােলা, পশরবুনিয়া ও চড়পাড়া গ্রামের মানুষের সড়ক পথে উপজেলা সদরসহ বানাতী বাজার হাট খোলায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ ব্রিজটি। দীর্ঘ দিনে মেরামত কিংবা পুননিমার্ন না করায় ব্রিজটি ভঙ্গ দশায় পরিনত হয়েছে। যেকোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে ব্রিজটি।
তারপরও কান উপায় না পেয়ে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে এ ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। আর এতে প্রায়শই ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া এ ব্রিজ দিয়ে একমাত্র মটোরসাইকেল ছাড়া চলতে পারেনা কোন যানবাহন। তাই অসুস্ত কিংবা গর্ভবতী মেয়েদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় ট্রলার কিংবা নৌকায় করে। ফলে ব্রিজ নিয়ে চরম ঝুঁকিতে রেয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
ছােন খােলা গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া জানান, যেকােন সময় ব্রিজটি ভেঙ্গে যেতে পারে। অথচ এটি নির্মানে কেউ উদ্যােগ নিচ্ছেনা। জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রনীর শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার বলেন, ব্রিজ পার হয়প স্কুলে আসার সময় অনেক ভয় হয়। এছাড়া অনেক সময় অসাবধানতা বসত হাত থেকে কলম কিংবা বই খাতা ব্রিজের নিচে পানি তে পড়ে যায়।
লালুয়া ইউপি চয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে ব্রিজ নির্মানের লক্ষে উপজেলা পরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আমার নিজ অর্থায়নে ব্রিজে সামান্য মেরামত করা হয়েছে। তবপ নির্মানের আগ প্রযন্ত এ ব্রিজ দিয়ে শুধু মানুষ ছাড়া কােন যানবাহন চলতে পারবেনা।