পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে প্রতিদিন ১১ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎবিহীন থাকবে পটুয়াখালী জেলা। ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হবে বলে শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বরিশাল থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ১৩২ কেভি জাতীয় গ্রিড লাইনের তার পরিবর্তনসহ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।
ফলে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ১১ঘন্টা জেলার আটটি উপজেলাসহ বরগুনা জেলার চারটি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময় কাজের স্বার্থে বৈদ্যুতিক লাইন চালু করা হতে পারে বিধায় গ্রাহকদের বৈদ্যুতিক লাইন স্পর্শ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মহিপুর বরফ কল মালিক সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী জানান, বিদ্যুৎ না থাকার ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ আমাদের এখনো অবগত করেনি। মহিপুর-আলীপুরের ৩০টি বরফ কল প্রতিদিন গড়ে ১৬ হাজার ক্যান বরফ উৎপন্ন করে। যদি টানা ২৮ দিন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে তাহলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বে বরফ কল মালিকরা।
এদিকে দীর্ঘ ২৮ দিন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলে ক্ষতির মুখে পড়বে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে মহিপুর আলীপুর মৎস্য বন্দরের বরফ কলগুলো বন্ধ থাকলে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া পৌর শহরের নির্ধারিত সময় ছাড়া পানির লাইনও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বন্ধ থাকলে বিদ্যুৎ চালিত অটোরিকশা চালিয়ে যারা জীবন-যাপন করেন তাদের অবস্থা করুন আকার ধারণ করবে।
আলীপুর মৎস্য বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, বহিরাগতসহ মোট দুই হাজার মাছ ধরা ট্রলার রয়েছে আলপিুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে। ২৮ দিন বিদ্যুৎ না থাকলে সব মিলিয়ে ১৪ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়বে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া খারাপের কারণে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। পূর্ব ঘোষিত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার তারিখ পরিবর্তন হতে পারে বিধায় এখনো মহিপুরে এখন চিঠি দেয়া হয়নি।