এম.টুকু মাহমুদ হরিণাকুণ্ডু থেকে:
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার জোড়াদাহ ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের আজিরন নেছার ঘর ঘড়বাড়ি জ্বালিয়ে দিল দুর্বত্তরা। সন্ধা হওয়ার পরপর পেট্রোল বা কেরাসিন দিয়ে আগুন লাগিয়েছে বলে জানান ঐ গ্রামের মৃতঃ ভিকু শাহ‘র স্ত্রী।
গত রবিবার অনুমানিক সন্ধা সাত ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটলে ফুল কুমারীর আগুন আগুন চিৎকারে স্থানিয়রা ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানিয়েছেন আল-আমিন সহ স্থানীয়রা। আজিরন নেছার নানী শিমা খাতুন মিডিয়া-কে জানান, আমার নানীর ছেলে সন্তান না থাকায় আশিরদ্দি,আমদ, মামুন,বছির,মিঠু’রা মাঝে মাঝেই আমাদের অত্যাচার করে। এই কয় দিন হলো আমাদের ঝাঁড়ের বাঁশ কেঁটে নিল সবাই দেখলো কিন্তু ভয়ে কেও বাধা দিল না। পরে ফাঁড়ির পুলিশ আশায় বাঁশ ফেঁলে পালিয়ে যায় আশিরদ্দি,আমদ, লুকমান ও বছির। বাঁশ কাটার পর আবার যখন ঘরে আগুর দিল এরপর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টো আমাদের বঁকা-ঝকা করে থানা থেকে তাড়িয়ে দিল। বললো তোমাদের কথার কি প্রমাণ আছে,যাও আগে তদন্ত করবো তার পর মামলা নেব। থানায় গিয়ে যদি বিচার না পায় তাহলে আমরা কোথায় কার কাছে যাব।
ঘটানার তিন দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ তদন্তও করে নি আমাদের বাড়িতেও আসেনি। এদিকে গত রবিবার পান বিক্রয় করতে গেলে ফেঁরার পথে আমার টাকা পঁয়সা কেঁড়ে নিতে গেলে আমি কোন কথা না বলে চলে আসি। এমন অবস্থায় আমি মকলেচুর রহমান,আমার নানি সহ আমরা সকলে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আমদ আলির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের ফাঁসানোর জন্য নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়ে চেচামেচি করে, পরে আমরাই আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। ঘটনা প্রসংগে স্থানীয় ছমির আলী বলেন,আগুন যেই লাগাগ বা লাগিয়েছে,আগুন তো আর এমনি এমনি লাগতে পারে না। যার সঠিক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
এব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ আছাদুজ্জামান জানান,ওরা থানায় এসেছিল কথাবার্তা সাজানো সন্দেহ মনে হয়েছে আর বাঁশ কাটা টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনা আমাকে জানায়নি ঠিক আছে ওদের স্থানিয় পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠিয়ে দিন আমি বলে দেব।