বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রয় ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় বন্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জনসচেতনতা মূলক র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। টঙ্গী ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে জনসচেতনতা মূলক র্যালীটি টঙ্গী বাজার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গাজীপুরা বাস স্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়। টঙ্গী ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম এ লতিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন কাজলের পরিচালনায় র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, টঙ্গী ঔষধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির ৫২নং ওয়ার্ডের সভাপতি ডা: জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জীবন আলী, ৫০নং ওয়ার্ডের সভাপতি বিকাশ আচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক ডা: সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: সালামত উল্লাহ, প্রচার ও প্রশাসনিক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক নাসির উদ্দিন বুলবুল, ৫৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো: খোরশেদ আলম, ৫৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো: মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান জিলানী, মো: রাফিজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান প্রিন্স, বিশিষ্ট সমাজসেবক নয়ন পাটোয়ারী, মো: শাহিন, আমির হামজা সিহাব, মো: জামিলুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জনসচেতনতা বাড়ানো, ঔষধ বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং প্রচলিত ঔষধ আইনের প্রয়োগ। শুধু আইনের প্রয়োগ করলেই চলবেনা, জনসচেনতাও বাড়াতে হবে। নকল ও আনরেজিস্টার্ড ঔষধ কিভাবে চেনা যাবে, ফার্মেসি ব্যবস্থাপনা কিভাবে করতে হবে, ফার্মেসিতে কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে এবং ইনভয়েসের মাধ্যমে ঔষধ ক্রয় করতে হবে। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে। টঙ্গীতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ঔষধ বিক্রয় করতে হবে এবং কোন ফার্মেসীতে ডিসকাউন্ট দিয়ে ঔষধ বিক্রয় করা যাবে না। নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রতিরোধ করে বাংলাদেশের ফার্মেসি ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এর কোনো বিকল্প নেই। জনসাধারণকে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ দেখে ঔষধ ক্রয় এবং ঔষধের সঙ্গে নিবন্ধন আছে কিনা অর্থাৎ ঔষধের মোড়কে ডিএআর (উঅজ) বা এমএ (গঅ) নম্বর আছে কিনা তা দেখে ক্রয় করার অনুরোধ করেন।