২০১১ সালে হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ড হইতে মেম্বার পদপ্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করি এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং গতবছর ঢাকা সিটি উত্তরের ৫৪ ওয়ার্ডের প্রথম নির্বাচনে আপনাদের ভোটে প্রথম ৫৪ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়ে নয়মাস নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেকে আত্মমানবতার সেবায় উৎসর্গ করার লক্ষ্যে বর্তমানে তুরাগ থানার অন্তর্গত কবরস্থান পূনঃনির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। আমি বিনাপ্রতিদন্দিতায় ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে ৭০ লক্ষ টাকায় তুরাগের ৫৪ ওয়ার্ডের দুটি রাস্তার কাজ পেয়েছি। একটি রাস্তা সম্পন্ন হয়েছে, আরেকটা নির্মানাধীন। অন্যান্য সামাজিক কর্মকান্ডের সহিত জড়িত রহিয়াছি। আমি মেম্বার থাকাকালীন পুরাতন রাস্তা নতুন করে মেরামত করেছি। আপনাদের সন্তান হিসাবে, ভাই হিসাবে আমি ৫৪ নং ওয়ার্ডকে ঢাকা শহরের একটি মডেল ওয়ার্ড গড়ার স্বপ্ন দেখি। ইনশাল্লাহ, এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা আমার আছে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। তাই সকলের প্রতি আহবান আবেগ দ্বারা ত্বারিত না হয়ে বিবেক দিয়ে বিচার করে আগামী ১লা ফ্রেব্রুয়ারী পূনঃরায় আমাকে আপনার আমানত-মূল্যবান ভোটটি আমার ঝুড়ি মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে মডেল ওয়ার্ড গড়ার সুযোগ দিবেন। আমি আপনাদের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত হলে যে সকল উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করব। আপনাদের দোয়ায় আমি নির্বাচিত হলে ৫৪নং ওয়ার্ডের সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ সমস্যা। সর্বপ্রথম এ সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।
প্রতিটি বাড়িতে আধুনিক মানের হোল্ডিং নম্বর থাকবে এবং প্রতিটি রাস্তার নাম্বার থাকবে। ৫৪নং ওয়ার্ড এর ছোট বড় প্রতিটি রাস্তায় সোলার সিস্টেম সহ বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা। ৫৪ নং ওয়ার্ড এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মূল সড়কগুলোকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। প্রতিবেদক ৫৪ ওয়ার্ড এর অন্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্যগত যাচাই ও জনমত জরিপে জানতে পারেন, ৫৪ ওয়ার্ড এর অন্য প্রার্থীদের নামে একাধিক হত্যা মামলা সহ জমি দখল ও নিরহদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও ভুমিদস্যুতার একাধিক অভিযোগ আছে। জনমত জরিপে ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ জনমত জরিপে এর জনপ্রিয়তা অন্য প্রার্থীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
গণসংযোগে, প্রচার-প্রচারণায় বাঁধা দিয়ে আর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে গণ রায় তথা ঝুড়ি প্রতীককে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ কাউন্সিলর প্রার্থী । তিনি বলেন,ভোট ন্যূনতম সুষ্ঠু হলে বিজয় আমার সুনিশ্চিত।’ প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘আমার সন্তান সহ কর্মীদের মারধোর, অফিস ভাংচুর ও পোস্টার ছেঁড়ার মাধ্যমে আমাকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না।
এলাকাবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে, ৫৪নং ওয়ার্ড বাসীর পক্ষে অসমাপ্ত উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করার জন্যে এ নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করেছি । এই নির্বাচনে পেশী শক্তি দেখিয়ে অন্য পার্থীরা পোস্টার ছিড়ে ফেলছে, কর্মীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাইতে বাধা দেওয়া সহ হুমকি ও মিছিলে বাধা দিচ্ছে পোস্টার ছিঁড়ে, বাঁধা দিয়ে গণ রায়কে রুদ্ধ করা যাবে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন,‘ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভাবে এই ওয়ার্ডের ভোটারদের
ভোটারদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়, তবে আমাদের ঝুড়ি প্রতীকের বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা। তিনি বলেন, আমার পোস্টার ছেঁড়া ও কর্মী সমর্থকদের মারধোর সহ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে সতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল শেখ তার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার অবহিত করেছি। আমি আশা করবো নির্বাচন কমিশন এসব বিষয়ে খুব দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম এই ওয়ার্ডে দূর্নীতি ও মাদক নির্মূলে কাজ করবো।
সাবেক ঢাকা জেলা পরিষদ সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪ নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ থেকে জানা যায়, এ হামলার নেতৃত্বে দিয়েছেন এ ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল শেখ। হামলায় যুবরাজের ছেলে লিমনসহ নৌকা মার্কার তিন জন কর্মী আহত হয়ে ইষ্টওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছে। ঝুড়ি মার্কার নির্বাচনী অফিস সূত্র জানায়, সোহলে শেখের কর্মীরা ৫৪ নং ওয়ার্ডে ঝুড়ি মার্কার তিনটি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। যুবরাজের অফিস ভাঙচুর করার পর স্থানীয় এলাকায় মেয়র প্রার্থীর একটি অফিস ভাঙচুর করে সোহেল শেখের কর্মীরা। এ ঘটনায় ৫৪ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ভোটাররা। এ দিকে সোহলে শেখের দ্বারা নৌকার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ বলেন, অন্যান্য দিনের মতই সারাদিনের প্রচারণা কার্যক্রম শেষে তার বাসভবনের বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত কাউন্সিলর অফিসের সামনে থেকে কর্মীদের বিদায় করা হয়। এর কিছু সময় পরেই রাসেল ও আলী নামের তার দুই কর্মীর একজন মুঠোফোনে চিৎকার করে জানাতে থাকেন যে, তাদের ওপরে সোহেল শেখের কর্মীরা ধারালো অস্ত্রসহ আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ও আমার ছেলে লিমনসহ দুই-তিনজন মিলে কর্মীদের রক্ষা করতে পুরাতন বাজারের দিকে ছুটে গেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেলের আত্মীয় মো. নাসির ও তার ছোট ভাই নয়ন এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এতে যুবরাজের ছেলেসহ কয়েজন গুরুতর আহত হয়। তবে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে কাউন্সিলর যুবরাজের প্রায় শতাধিক কর্মী সেখান থেকে এই কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার ছেলে লিমনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থলে তুরাগ থানার টহল পুলিশের একটি ইউনিট উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পুরো এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে রাত থেকেই ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে তুরাগ থানা কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর হোসেন যুবরাজ এর আগের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে গত ৯ মাসে এ ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। গত নয় মাসে ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবছেড়ে বেশি উন্নয়ন বরাদ্দ হয় এ ওয়ার্ডে। যুবরাজের একক প্রচেষ্টায় অবহেলিত এ ওয়ার্ডে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুবাধে স্থানীয় লোকজন এবার তাকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে বেশ উদগ্রীব। বিশেষ করে নতুন আগন্তুক ভোটারদের মাঝে যুবরাজ ইজম তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ প্রার্থীকে কোনওভাবে ঠেকাতে না পেরে ভিন্ন পথে হাঁটছেন বিতর্কিত সোহেল শেখ।