
স্টাফ রিপোর্টার : নাজমুল ইসলাম ,গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় স্বাধীন বাংলা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিঃ এ হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে এতে আহত হয়েছে ২ জন।
আহতরা হলেন স্বাধীন বাংলা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি মোঃ মুনির হোসেন ও সহ সভাপতি মোঃ খসরু মিয়া।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় মো: মুনির হোসেন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে অভিযোক্তরা হলেন,১/ মোঃ সুজন (৩৫) পিতা,অজ্ঞাত ২/শফিকুল ইসলাম (৪০),পিতা,অজ্ঞাত ৩/ তোফায়েল (২৮)পিতা অজ্ঞাত, সর্ব সাং গফরগাঁও, থানা গফরগাঁও, জেলা ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা মুলাইদ,তেলিহাটি( অজ্ঞাত ব্যক্তির বাড়ীর ভাড়াটিয়া)।
বাদী মুনির হোসেন বলেন আমি মাওনা চৌরাস্তা ফোটপাতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ক্ষুদ ব্যবসায় সমবায় সমিতি গঠন করি যাহার রেজিঃ নং ১৮৭।বিবাদীগন উক্ত সমবায় সমিতির ভিবিন্ন বিষয় নিয়া শত্রুতা পোষণ করিয়া আসিতে থাকে,,,এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭/০২/২০২০ ইং তারিখে সন্ধ্যা অনুমান ৬ টা ৪০ মিনিটের সময় উল্লেখিত বিবাদীগন সহ আরও ৪/৫ জন অজ্ঞাত লোকজন সংঙ্গবন্ধ হয়ে দা,লাঠি ও লোহার রড নিয়ে আমাদের সমিতিতে হামলা চালায়,এমন সময় আমাদের সমিতির সহ সভাপতি মোঃ খসরু মিয়াকে দেখতে পেয়ে অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং এলোপাথাড়ি কিল,ঘুষি,ও লাথি মারিয়া মাটিতে ফেলে দেয়,এমন সময় ১ নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া মোঃ খসরুকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে এবং ২ নং বিবাদী তাহার পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই। এমন সময় আমি খসরুকে রক্ষা করিতে আগাইয়া আসিলে আমাকেউ মারধর শুরু করে একপর্যায়ে ৩ নং বিবাদী আমার গলায় ২ হাতে চাপ দিয়া শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।পরে ১ ও ২ নং বিবাদী আমাদের অফিসের ক্যাশ বাক্স থেকে ১,০৫,০০০ টাকা নিয়া যায়।এসময় অফিসের ক্যাশিয়ার কামরুল হাসান বিবাদীদের বাধা দিলে তারা তাকেও মারধর করে ও তার পকেটে থাকা ৬৫,০০০ টাকা নিয়ে যায় এবং অফিসে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৫,০০০ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশে থেকে লোকজন আসতে শুরু করলে বিবাদীগন আমাদের খুন জখমের হুমকী প্রদান ও মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যাই।
অতঃপর খসরু ও আমার অবস্থা আশংকা জনক দেখে মাওনা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোশারফ সরকার সহ অন্যান্য লোকজনের মাধ্যমে অফিসের সাধারন সম্পাদক শ্বপন শেখ আমাদের সিএনজি যোগে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ১ নং বিবাদীর নাম্বারে ফোন দিলে অন্য একজন ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে বলেন ফোনটি তাহার দোকানে সুজন চার্জে বসিয়ে চলে গেছে, ২ নং বিবাদীর ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোনে কোন কথা বলতে রাজি হননি এবং পরবর্তী সময় ফোন বন্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ পেয়ে জখমীদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে জানান.