শ্রীপুরে যৌতুক না দেওয়ায় নির্যাতন চালিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দিলো পাষন্ড স্বামী।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নাজমুল ইসলাম,
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কাওরাইদ ইউনিয়নে যৌতুক না দেয়ায় নির্যাতন চালিয়ে এক গৃহবধূর মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
ওই গৃহবধূর নাম মুন্নী আক্তার (২২)। তার স্বামীর নাম সাইম আহমেদ(২৬)
৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের সাইম আহমেদ এর বাড়িতে ঘটে এ ঘটনা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যাই ,গত পাঁচ বছর পূর্বে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের মোঃ মজিবর রহমানের মেয়ে মুন্নি আক্তার এর সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা সালেহ আহমেদ এর পুত্র সাইম আহমেদের। তাদের দাম্পত্য জীবনে মোয়াজ্জিম নামে আড়াই বছরের একজন পুত্রসন্তান রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে এবং মুন্নি জানান, বিবাহের কিছুদিন পর হতেই মুন্নি আক্তার স্থানীয় অটো স্পিনিং মিলে চাকরি করিয়া চাকরির বেতনের সমস্ত টাকা স্বামী সাইমের হাতে তুলে দিতো। পুত্র মোয়াজ্জিম জন্ম নেয়ার মাসখানেক পর থেকে স্বামী সাইম পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় ও কু-পরামর্শে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করিয়া বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। কিন্তু মুন্নির দরিদ্র বাবা মজিবুর রহমানের যৌতুকের টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করিয়া মুন্নি আক্তার নির্যাতন সহ্য করিয়া সংসার করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে পূর্বের দাবীকৃত যৌতুকের দুই লক্ষ টাকা আনিয়া দিতে বলিলে। মুন্নি আক্তার পিতার নিকট হইতে যৌতুকের টাকা আনিয়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করিয়া ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখেন। পরে ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার স্বামী বাড়িতে না থাকায় কৌশলে সন্তানসহ পিতার বাড়িতে চলে আসেন মুন্নি।
এ বিষয়ে একালার একজন ব্যক্তি আব্দুল হামিদ ঢালী জানান মুন্নী ছোট থাকতেই তার মা মারা যায়,সে খুব কষ্টে বড় হয়েছে, তার বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় ৫ বছর, এর মাজে তাদের সংসারের জামেলা নিয়ে আমরা আমি সহ এলাকার গম্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তার স্বামীর বাড়িতে একাদিকবার দরবার শালিশ করেছি,মুন্নীকে বারবার যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো কিন্তু এবার তার মাথা ন্যাড়া করে দিলো তার শশুড়বাড়ীর লোকজন,আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, মুন্নীর কাকা মোঃ জামাল মিয়া বলেন আমি এমন ঘটনা আগে কখনো দেখিনি আমি এর কঠিন বিচার দাবি করছি।
মুন্নী তার পিতা কে সমস্ত ঘটনা জানানোর পর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইলে সুবিচারের আশায় থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, স্বামী ১/ মোঃ সাইম আহমেদ(২৬), পিতাঃ সালেহ আহমেদ। ২/জাহানারা বেগম (৪৫) স্বামী সালেহ আহমেদ।৩/আতাবুর রহমান(৪২) ৪/হাবিবুর রহমান (৩৮) উভয় পিতা আব্দুল আজিত।
এ বিষয়ে অভিযোক্ত স্বামী মোঃ সাইম আহমেদের ফোনে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই এখলাছ উদ্দিন বলেন,মামলার এজাহার ভোক্ত তিন নম্বারর আসামি আতাবুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পেরন করা হয়েছে এবং বাকীদের আটকের জন্য অভিযান চলমান।