কক্সবাজার উখিয়া প্রতিনিধি ঃ
আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি…..২১শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও সালাম…….উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত ক্যাম্পের ১৬ শফিউল্লাহ কাটার হোস্ট কমিনির পরিবারের পক্ষথেকে পুস্প অর্পণ।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ,কে, এম,সাইফুল ইসলাম সভাপতি হোস্ট কমিউনিটি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল সিক্স উখিয়া প্রতিনিধি এস, এম, মুফিছ উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার উখিয়া উপজেলার সদস্য আবুল আলা নোমান, আবু তয়ব, রিদুয়ানুল হক, আলী আহমদ, নুর মোহাম্মদ, আবদুল গফুর, হেলাল উদ্দিন, আবদুর রহমান, বেলাল উদ্দিন, নুরুল কবির, সিরাজুল মিয়া, আবু তাহের,পালংখালী ইউনিয়ন তাঁতি লীগ সদস্য সৈয়দ করিম, মনোয়ারা বেগম, এসময় প্রধান অতিথি বলেন আমরা সফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছি আমাদের কিছু দাবি মাননীয় আর আর সি বরাবর জমা দিয়ে আসছি যুক্তিতর্ক তুলে ধরে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ রইলো।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস।
বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।
ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে।
ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৭মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয় ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি।
১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘বাংলা ভাষা প্রচলন বিল’ পাশ হয়। যা কার্যকর হয় ৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল থেকে।