
শহিদুল্লাহ সরকার
আশুলিয়ায় অনুমতি বিহীন পলির দানা তৈরির কারখানা বিপাকে এলাকাবাসী:
আশুলিয়ার কাঁঠাল তলায় নাম ও কাগজ পত্র বিহীন ভাবে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে নিষিদ্ধ পলি গুরো করে তা থেকে পলির দানা ও পলি তৈরির কারখানা বিপাকে পড়ছেন এলাকাবাসী সরজমিনে কারখানায় গেলে দেখা যায় কারখানা চলাকালীন সময় বিকর্ড শব্দ গরম ওদুর্গন্ধে কারখানার আশপাশে বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।আবাসিক এলাকায় মানুষের, এই ধরনের কার্যক্রম কিভাবে পরিচালনা করছেন জানতে চাইলে কারখানার মালিক মোঃ দুলাল এর সাথে কথা বলতে
চাইলে তা সম্ভব হয়নি।[the_ad id=”31184″] পরে দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজার মেহেদী হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি সংবাদ কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা আমরা জমি ক্রয় করে এই কারখানা করেছি এবং সকল কাগজপত্র করার জন্য আবেদন করে কারখানাটি চালাচ্ছি বলে তিনি জানান।কিন্তু আবাসিক এলাকায় এই কারখানাটি চালু হওয়ার কারণে আশেপাশের মানুষ ও বাড়ির মালিকগন পড়েছেন বিপাকে। আজিরন বেগম নামে একজন বাড়ির মালিক বলেন রাতে যখন কি একটা মেশিন চালু করেন তখন আমাদের
ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার সমস্যা সহ ঘুমাইতে খুব সমস্যা হয়। এবং এই কারখানার গরম আবহাওয়া আশেপাশের গাছ গাছালি গুলো মরে যাচ্ছে । মনোয়ারা বেগম নামে এক বিধবা অসহায় নারী বলেন আমার স্বামী সন্তান নেই আমি মানিকগঞ্জ জেলা থেকে সব কিছু বিক্রয় করে এই এলাকায় এসে এই বাড়িটি করেছি বাসা ভাড়া দিয়ে কোনরকমে জীবন যাপন করতে পারবো বলে, কিন্তু ঐ কারখানাটি হওয়ার কারণে এই বাড়িতে বসবাস করা অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । কোন ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নেয় না,শুধু শব্দ গরমের কারণে এলাকাবাসী বলেন আবাসিক এলাকায় এই ধরনের কারখানা হওয়ায় আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি কারণ বর্তমান এলাকায় বসবাস করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । বাড়ি থাকলেও ভাড়াটিয়া শুন্য । আমরা এসকল কারখানা আবাসিক এলাকা থেকে সরিয়ে নির্ধারিত স্থানে করার জোর দাবি জানাচ্ছি । এই কারখানাটি অন্যত্র স্তান্তর না করলে আমাদের বাড়িঘর বিক্রয় করে অন্যত্রে চলে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে
আশুলিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন পরিবেশ ছাড়পত্র নিদেষ্ট পরিমাণ মোটা হতে হবে তার চেয়ে চিকন হলে এবং উপযুক্ত প্রমাণ পেলে সেটি আমরা বাজেয়াপ্ত করে ধংস করে পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তান্তর করে থাকি । কারন দেখা গেছে ১০ হাজার বছরে এই পলি ধংস করা সম্ভব হয় না। সুতরাং সেটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও ধংস যোগ্য আমাদের পরিবেশ আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি ।