এম.টুকু মাহমুদ,হরিণাকুণ্ডু থেকেঃ
‘এমন সমাজ কবে গো সৃজন হবে, যেদিন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জাতি গোত্র নাহি রবে’ এই অমিয় বাণীর কথা বলতে গেলেই মনে পড়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা লালন গুরু সিরাজ সাঁইজির কথা। বুধবার রাত আটটায় হরিণাকুণ্ডুর হরিশপুরের লালন একাডেমী স্কুল মাঠে এক সাংস্কৃতিক মঞ্চে মঙ্গল প্রদিপ জ্বালিয়ে উৎসব শুরু হয়ে আজ সমাপনী দিন। সাংস্কৃতিক বিহীন মানুষ অন্ধ। সাংস্কৃতিক বিহীন মানুষ পথ দেখতে পায়না।
লালন সাঁইয়ের আধ্যাতিকতা ও মানবিকতা ছিল। তার বানী ও চেতনা ধারণ করে জীবন গড়ে তুলতে পারলে মানুষ কখনও অপরাধী, সন্ত্রাসী হবে না। মানুষের মাঝে হিংসা বিদ্বেস থাকবে না। লালন শিল্পিদের মনমাতানো হাজারও শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেন লালন সম্রাজ্ঞী শিল্পীবৃন্দ। এর আগে স্থানীয় শিল্পীরা লালন সঙ্গীত পরিবেশন করেন। জেলা প্রশাসন ও লালন স্মৃতি পরিষদ হরিশপুরের উদ্যোগে আয়োজিত লালন স্মরণ উৎসব শেষ হয় শুক্রবার রাতে।
আধ্যাত্মিক সাধক, বাউল সম্রাট ফকির লালন শাইজির জন্মভূমি স্মরণ উপলক্ষে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হরিশপুর লালনের আখড়ায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নানা আয়োজন পালিত হলো লালন জন্মভূমি স্মরণ উৎসব ২০২০। যা ঘীরে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার লালন ভক্ত-বৃন্দ ছুটে এসে উৎসবে অংশগ্রহণ করে। রাতের আকাশে চোখ ধাধানো আলোকিত মঞ্চে আলোচনা সভা এবং লালন সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দেশের খ্যাতনামা লালন শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন উৎসবের পাশাপাশি মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখাযায়। মেলায় বিভিন্ন রকমের তৈজসপত্রের দোকানে, শিশুদের জন্য পিঠাপুলি, খাবারসহ নারা ধরনের খেলনা লক্ষ করা যায়।
উল্লেখ্য “মানুষ ভোজলে সোনার মানুষ হবি” বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজি’র এই বাণীকে স্মরণ করে লালন ভক্তদের মিলনমেলা হয়ে উঠে মিলন সুমুদ্র।