দেশের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল হ্যাকাথন অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস। ‘থিংক, হ্যাক, সলভ’ স্লোগানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প বা স্টার্টআপ বাংলাদেশ-আইডিয়ার উদ্যোগে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) অডিটরিয়ামে সম্প্রতি দুই দিনের এই হ্যাকাথন শেষ হয়েছে। হ্যাকাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সেরা ১০টি উদ্ভাবনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন ও টেক মাহিন্দ্রা।
কোনো সমস্যার গভীরে ঢুকে তার মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং সেটার কার্যকর সমাধান তৈরি করাই হ্যাকাথন। অনুষ্ঠানে যে ১০টি প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানদাতা দলকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়, তারা হলো গুজব প্রতিরোধে ‘টিম অনটন’, পল্লী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিংয়ের জন্য ‘ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম’, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘গ্রিন বিডি’, নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ইন্টিগ্রেটেড মার্কেট ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ‘অরিজিন্যাটিভ-১’, খাদ্যশস্য সংরক্ষণে স্মার্ট ওয়্যারহাউস ‘ব্রগ্রামার্স’, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী স্থাপনা তৈরিতে রিয়েল টাইম ইমারত নির্মাণ পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় ‘পর্যবেক্ষণ’, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে ‘রুয়েট অ্যাবাকাস’, রেল দুর্ঘটনা রোধে ‘ক্যাব সিগন্যালিং’, নৌদুর্ঘটনা রোধে ‘দি কোস্ট গার্ড’, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ এবং ‘মোটরযান ফিটনেস সার্টিফিকেট’ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে ‘ড্রাইভ সেইভ লাইভ’।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ বানাব। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের তরুণদের উদ্ভাবন ও ক্যাপাসিটির সঠিক ব্যবহার করে দেশকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।’
অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘স্থানীয় উদ্ভাবনও হতে পারে বৈশ্বিক সমাধান। তাই স্থানীয় উদ্ভাবনকে আমরা কিভাবে বৈশ্বিক বাজারে নিয়ে যেতে পারি তার একটি ব্রিজিং করতে হবে।’