শহিদুল্লাহ সরকার
সাভারের বিরুলিয়ায় আবাসন সোসাইটি এলাকায় সরকারি লিজকৃত জমির মালিক হারুন-অর-রশিদকে চাঁদার দাবীতে এবং তার জমিতে অবৈধ দখল বাজদের বাধ দেওয়ায় কারণে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে ভূমিদসূ ও সন্ত্রাসী তুফান বাহীনি।এ ঘটনায় আবুল হোসেন তুফান নামের একজনকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
৯ই মার্চ সোমবার সকালে আবাসন সোসাইটি এলাকার ভূমিদসূ ও সন্ত্রাসী আবুল হোসেন তুফানের নেতৃত্বে হারুন-অর-রশিদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।এসময় স্থানীরা গুরুতর আহত হারুন আর রশিদকে উদ্দার করে সাভার উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরে সাভার মডেল থানার এস আই ও বিরুলিয়া ফাঁরি ইনচার্জ অপূর্ব দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে অভিযুক্ত আবুল হোসেনকে আটক করেন।
আভিযোগ সূত্রে এবং হারুন আর রশিদ এর কাছ থেকে জানা যায়, সাভার থানাধীন কুমারখুদা মৌজা স্থিত ১৩৫ শতাংশ জমি নিয়ে গত ইং ২৬/০৪/২০১৭ ইং তারিখ স্বারক নং-ডিএন ৩১.০২.০০০০.০৩৫.২৬.০৯৩.১২-১৯২ মােতাবেক লিজ সূত্রে মালিক হন হারুন আর রশিদ। যাহা সাভার সাব-রেজিষ্ট্রিরী অফিসের ঢাকা কালেক্টরী তৌজি ভূক্ত সি.এস খতিয়ান নং-০২, সি.এস দাগ নং-১৬। উক্ত সম্পত্তি লিজ নিয়া সঠিক সীমানা নির্ধারন করিয়া শান্তিপূর্ণ
ভাবে প্রায় ৩ বছর যাবৎ ভােগ দখলে বিদ্যমান আছি। এমতাবস্থায় বিবাদী ১। মোঃ আবুল হােসেন তুফান (৪১), পিতা-ওয়াজুি
মােহাম্মদ মন্ডল, ২। মাহবুবুর রহমান (৪২), পিতা-মরহুম মােজাম্মেল হক ৩। মনিরুল হক বাবু, পিতা-মরহুম নুরুল হক, ৪। রােকন
জহুর, পিতা-অজ্ঞাত, ৫। নুর হােসেন মল্লিক, পিতা- আইজুদ্দিন মল্লিক, সর্ব স্থায়ী সাং-অজ্ঞাত, সর্ব বর্তমান সাং-শ্যামপুর,
গােলাপগ্রাম, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকাসহ সিকিউরিটি নামক কতিপয় মাস্তান এবং স্থানীয় ১০/১৫ জন মাস্তান আমার নিকট ১৮,০০,০০০ (আঠারাে লক্ষ) টাকা চাদা দাবী করে অন্যথায় উক্ত সম্পত্তি আমাদেরকে ভােগদখল করিতে দিবেনা বলিয়া জানায়। তাহাদের দাবীকৃত টাকার মধ্য হইতে আমি কতিপয় স্বাক্ষিগনের সম্মুক্ষে গত ইং ১৫/০৭/২০১৯ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বিরুলিয়া বাজারে বসিয়া ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা প্রদান করি। তাহাদের দাবীকৃত বাকী ১৫ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় উক্ত বিবাদীরা বিভিন্ন দিন তারিখ ও সময়ে আমার উক্ত সম্পত্তির দখল
ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য নানারকম ভয়ভীতি, চাপ সৃষ্টি করা সহ জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করিয়া আসিতেছিল। আমি বিবাদীদের
কথায় রাজি না হইলে উক্ত বিবাদীগন উক্ত জমি জোরপূর্বক জবর দখল করিয়া নিবে মর্মে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদান করিয়া মেরে
লাশ ঘুম করিবে মর্মে বিভিন্ন ভাবে অপকৌশল চালাইয়া আসিতেছে। পরবর্তীতে আমি উক্ত ঘটনার বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি
সাধারন ডায়েরী করি। যাহার নাম্বার ১০২৩ তারিখ-১৭/১২/২০১৯। একপযায়ে উক্ত বিবাদীগন গত ইং ২৫/০২/২০২০ তারিখ সকাল
অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় আমি আমার উক্ত জমি দেখা শুনা করিতে আসিলে উক্ত বিবাদীরা আসিয়া আমাকে পূর্নরায় জমির দখল
ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য বলা সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করিলে উক্ত বিবাদীগন উক্ত জমির দখল ছাড়িয়া না
দিলে জীবনে মাড়িয়া ফেলিবে ও মিথ্যা মামলা দিয়া হয়রানি করিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। বিবাদীদের উক্তরুপ হুমকি ধামকি দেখে
মনে হচ্ছে দেশের বড় কোন সন্ত্রাসী চক্রের সহিত তাহাদের যােগসাজোস রহিয়াছে। উক্ত বিবাদীগন খারাপ প্রকৃতির লােক। তাহারা
পারেনা এমন কোন কাজ নাই। উক্ত বিবাদীরা আমার উক্ত ভােগ দখলিয় জমি জোর পূর্বক দখল করিয়া নেওয়া সহ আমার পরিবারের
সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে।
অদ্য ইং ০৯/০৩/২০২০ তারিখ রােজ সােমবার উল্লেখিত সম্পত্তিতে সকাল অনুমান ৯.০০ ঘটিকার সময় সকল আসামিগন
বেআইনী জনতাবদ্ধে আমার নিকট চাদার টাকা দাবী করিলে আমি দিতে অস্বীকার করায় আমার উক্ত সম্পত্তি জোরপূর্বক বেদখল করার
চেষ্টা করিলে আমি বাধা দেওয়া ১ নং আসামি তাহার হাতে থাকা ধারালে রামদা এর উল্টা পিঠ দিয়া আমাকে প্রানে মেরে ফেলার জন্য
মাথায় কোপদিলে আমি মাথা সরিয়ে নেয়ায় আমার ডান কাধে আঘাত প্রাপ্ত হইয়া ফিনকি দিয়া রক্ত বাহির হইতে থাকে। ২-৫ নং
আসামি সহ অন্যান্য আসামিদের হাতে থাকা দা, কুরাল, লােহার রড, বাশের লাঠি সহ ধারালাে অস্ত্র দিয়ে আমাকে প্রানে মেরে ফেলার
জন্য এলােপাথারী ভাবে কোপ ও বারি মারলে আমি ডাকচিৎকার দিয়ে মাটিতে পরে যাই। আমার ডাকচিৎকারে স্বাক্ষি মাফিজুল
ইসলাম, কুতুব হিলালী সহ অন্যান্যরা আগাইয়া আসিলে আসামিগন পালিয়ে যায়। আমি অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়িয়া থাকিলে
স্বাক্ষিগন আমাকে উদ্দার করিয়া সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তীকরে। বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থ
অবস্থায় উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। ঘটনার সত্যতা প্রমানে স্বাক্ষি আছে প্রয়ােজনে দিতে পারিবাে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন,এ হামলার ঘটনার অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক এর জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।