মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হিলিতে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ স্থানীয়দের ধাওয়া, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের গাড়ি জব্দ ও আটক ২ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে ইসরাইলের হামলা নাটোর ও গোপালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী মালদ্বীপে বাংলাদেশ বাস্কেটবলের দলের ব্রোঞ্জ পদক জয় ভোটের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা হবে : সিইসি মহম্মদপুরে কলেজ ছাত্রদলের গঠিত কমিটির আনন্দ র‍্যালি ও মিষ্টি বিতরণ  হিলি সীমান্তে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার স্ত্রী স্বামীকে ফোন করে বাপের বাড়ি ডেকে নিয়ে ভাই ও তার সন্ত্রাসী বন্ধুদের দিয়ে মারপিটের অভিযোগ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু ম্যাচ উইনার হিসেবে দলে অবদান রাখতে প্রস্তুত নাহিদ রাশিয়া পরবর্তী দফা ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত : পুতিন ইরানের আক্রমণে ইসরাইলে ৮ জন নিহত, ১৩০ জনের বেশি আহত সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা টানা ১০ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি অফিস নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হাকিমপুরে পৌর জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হিলিতে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবক কে পুলিশ আটক করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মার্কিন আদালত এখন অভিবাসীদের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান

হারিয়ে যাচ্ছে বুদ্ধিমান ও শিল্পী বাবুই পাখি

শহিদুল্লাহ সরকার
বাবুই পাখি গ্রাম বাংলার ছোট্র একটি পাখির নাম। এ পাখি যেমন বুদ্ধিমান তেমনি শিল্পির মতো অপরুপ তার কারুকার্য।
বাবুই পাখি দেখতে অনেকটা চুড়ই পাখির মত।তবে আকারে একটু বড়। এরা ঝাঁক বেঁধে তাল গাছের চুড়ায় বসবাস করে, এরা খুব পরিশ্রমি পাখি। গ্রাম গঞ্জে এই বাবুই পাখি আর আগের মত চোখে পড়ে না।
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চুড়ই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।
বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তাই? কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়। পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা, নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাঁচা”।
রজনীকান্ত সেনের কবিতার সেই বাবুই পাখি আজ হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এখন আর আগের মতো এই পাখি দেখা যায় না।
এক শ্রেনীর লোক শিকার করছে বাবুই পাখি। অন্যদিকে খাঁচায় বন্দি করে বেচা কেনাও হচ্ছে এ পাখি।
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাবুই পাখির বাসা। বাবুই পাখিরা সাধারণত তাল গাছের চুড়ায় বাসা বাঁধে।
এই বাবুই পাখির বাসা গ্রাম গঞ্জের একটি ঐতিহ্যবাহী দৃশ্য। বাবুই পাখি নিয়ে কবি সাহ্যিতীকরা অনেক গল্প ও কবিতা লিখেছেন। তাল গাছের পাতার নিচের অংশে বাবুই পাখি বাসা তৈরী করে।
বাবুই পাখিদের বাসা বানানোর নির্মাণ শৈলী, কারিগরী দক্ষতা দেখে আধুনিক যুগের প্রকৌশলীদেরও ভাবিয়ে তোলে।
তাল পাতার ছেড়া তন্তু দিয়ে তারা বাসা বাঁধে।
পাতা ছিড়ে এনে সুখ্য ভাবে ঠোঁট দিয়ে তা গাঁথুনী করে বাসা তৈরী করে, তাই এর নাম শিল্পী বাবুই পাখি। ঝড় বৃষ্টিতেও সেই বাসা ভেঙ্গে পড়ে না।
তাল পাতার বাসায় কোন ভাবেই জল ঢোকে না। এ বাসায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার জন্য রয়েছে একাধিক দরজা। এ এক অদ্ভুত দৃশ্য।
 অন্ধকার ঘরকে কিভাবে আলোকিত করতে হয় তাও বাবুই পাখিরা ভালো ভাবেই জানে।
বাবুই পাখির বাসার ভিতর আধুনিক যুগের মত লাইটের ব্যবস্থা আছে। বাসার ভেতর একটু গোবর রাখা হয়, তার ভেতর জোনাকি পোকার মাথাটি ঢুকিয়ে দেয়।
ফলে জোনাকির আলোতে বাসা আলোকিত হয়ে উঠে। গ্রাম গঞ্জের তাল গাছে এই বাবুই পাখির দেখা মেলে।
এই দৃশ্য সাধারণ বাংলাদেশর প্রতিটি পল্লি গ্রামে দেখা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page আমাদের পেজ লাইক করুন
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com