আগামী ১৭ মার্চ রাত ৮টায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণে আতশবাজীর মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে মুজিববর্ষের পুনর্বিন্যাস করা কর্মসূচি নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্স শেষে এ কথা জানান।
কামাল চৌধুরী বলেন, আগামী ১৭ মার্চ রাত ৮টায় রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণের পর পর আতশবাজীর মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তাদের বাণী দেবেন।
তিনি বলেন, জনসমাগম পরিহার করে সারা দেশে এক সঙ্গে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান দেশের সকল গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
কামাল বলেন, বড় ধরনের জমায়েত পরিহার করে উৎসবমূখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে হবে। তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।
কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছিলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য আমাদের মুজিববর্ষের এই কর্মসূচির পুনর্বিন্যাস করতে হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু যেমন মানুষের জন্য কাজ করেছেন তেমনি তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানাও মানুষের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কর্মসূচির পুনর্বিন্যাস করেছেন।
তিনি আরো বলেন, জনসমাগম পরিহার করতেই জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের মত বড় বড় কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। এখনো পুনর্বিন্যাসকৃত কর্মসূচি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল গাফফার খানসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।