শহিদুল্লাহ সরকার
গাজীপুরের শ্রীপুরে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের অপরাধে ২ নারীসহ ৪ জনের প্রত্যেককে ৬ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (১১ মার্চ ) সন্ধ্যায় গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চৌধুরী মোস্তাফিজুর রহমান এ দণ্ড প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, গাজীপুরের শিরিরচালা নতুন বাজার এলাকার মোতালেব প্রধানের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার শশী (২৯), একই এলাকার শাহজাহানের স্ত্রী নূরজাহান (৩২), পড়শীবাড়ী রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক মর্তুজা মৃধা (২৯) এবং একই রেষ্টুরেন্টের কেয়ারটেকার আবুল হোসেন।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী গাজীপুর আঞ্চলিক অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এরশাদ মাহমুদ জানান, গাজীপুরের শিরিচালা এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়ি, রেষ্টুরেন্টে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধগ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে বিপদজনক ভাবে গ্যাস ব্যবহার করে আসছিল এলাকার অসাধু লোকজন। ইতোপূর্বে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ওইসব অবৈধ লাইন উচ্ছেদ ও অনেককে জরিমানা করা হয়। কিন্ত উচ্ছেদের কয়েকদিন পর আবারো তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় গোপনে অবৈধ সংযোগ প্রদান করে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গাজীপুর (জোবিঅ-গাজীপুর) এর উদ্যোগে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শ্রীপুর উপজেলার শিরিরচালা নতুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের দায়ে স্থানীয় পড়শীবাড়ী রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মর্তুজা ও কেয়ারটেকার আবুল হোসেন এবং একই এলাকার নুরজাহান ও রোকেয়াকে আটক করা হয়। এসময় ওই এলাকার বিভিন্ন বাসা বাড়ির জন্য অবৈধভাবে স্থাপিত পাইপ লাইনের সংযোগস্থলসহ স্থানীয় এক হাজার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণের দেড় হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও পাইপ লাইন অপসারণ করা হয়। অভিযানকারীরা চুলাসহ বিভিন্ন ব্যাসার্ধের পাইপ, রাইজার ও অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে। পরে সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আটককৃত প্রত্যেককে ৬ মাসের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
অভিযানকালে গাজীপুর তিতাস গ্যাসের (জোবিঅ-গাজীপুর) ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এরশাদ মাহমুদ, উপ-ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান ও প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী যাদব সরকার, সাবিনুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও আসাদুল্লাহ কায়সারসহ ও তিতাস গ্যাস ও প্রশাসনের প্রমূখ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।