
বিশেষ প্রতিনিধি : যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন পল্লী ক্লিনিকের অব্যবস্থপনা, অপরিচ্ছন্নতা ও ভূয়া চিকিৎসক রেখে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের দ্বায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছেন।
গত বুধবার উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অর্থদন্ডাদেশ প্রদান করেন। এ অভিযানে ক্লিনিকের দ্বায়িত্বরত এস এম মাহফুজ হোসেনের (BMDC)সনদ না থাকায় ভূয়া চিকিৎসক প্রমান হওয়ায়। চিকিৎসা না করার মোচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে সকল নিয়ম কানুন মেনে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ১০টি বেডের অনুমতি থাকা সত্তেও নিয়ম ভেঙ্গে নোংড়া পরিবেশের মধ্যে বেড রেখে প্রায় ৬০টি রুগী ভর্তি আছে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন এম বি বি এস ডাক্তারের নাম সাইনবোর্ডে ব্যাবহার করলেও, তাদের দেখা মেলেনা ক্লিনিকে। জরিমানা ও অনুমোদন বেশী রোগী ক্লিনিকে থাকার সত্যতা স্বীকার করেন ক্লিনিক ব্যাবসায় জড়িত এক অংশের মালিক আব্দুল হামিদ। এলাকার স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত রোগীদের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক নামে ওয়ার্ড বয়, নার্স ও মেডিকেল প্রাকটিশনার দিয়ে অপচিকিৎসা করিয়ে রোগীর ভবিষ্যত জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন।অভিযান বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার সাংবাদিকদের জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২অনুযায়ী অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন ও অনিয়মের দ্বায়ে পল্লী ক্লিনিক কে ১০,০০০/=টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে।
উক্ত ক্লিনিকটির রোগ নির্নয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্যাথলজী ও আল্ট্রাসনোগ্রাফীর রিপোর্ট বিতর্কিত হওয়া সহ পূর্বে ক্লিনিক হতে অর্থ বানিজ্যে নবজাতক চুরি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। নানা অভিযোগের মধ্যেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তোয়াক্কা না করে মেতে ওঠেছেন চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারনার ব্যবসা। এই ক্লিনিকে ছোট রুমে এবং একই জায়গায় অনেকগুলি বেড রেখে একসাথে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছে। এতগুলি রুগী একসঙ্গে রাখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে? তাদের নিজেদেরই উত্তম ফার্মেসি থেকে জানানো হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আমরা এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সহ মিঠিংয়ে অনুমতি নিয়ে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য বেড বেশি রেখেছি। ক্লিনিক পরিচালক গ্রাম ডাক্তার মো: আব্দুল হামিদ পি, সি জেনারেল প্রাকটিশনার এর কাছে জানার জন্য গেলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিক যত পারেন নিউজ করেন আমাদের কিছু হবেনা।
এ ব্যাপারে যশোরের সিভিল সার্জন সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন হস্তক্ষেপ কামনা’য় অতি দ্রুত উক্ত ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহ সুচিকিৎসা পাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবী জানিয়েছেন। ক্লিনিকটিতে সেবা নিতে আসা রোগীদের স্বজনরা এবং সচেতন মহল ও এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ।