লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার শিক্ষার্থীর স্কুল ড্রেস না থাকায় বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আঃ সোবাহানের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা মিলন (৩৭) বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসানের স্কুল ড্রেস ময়লা থাকার কারণে ওই দিন স্কুলে ড্রেস পড়ে আসেনি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আঃ সোবাহান স্কুল ড্রেস না থাকার কারনে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে ক্লাসের বাহিরে বের করে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। ওই শিক্ষার্থীকে রোদে দাড়িয়ে রাখেন। পরে তাকে এক ঘন্টা রুমে তালাবন্ধ করে রাখেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান। মারধর দেখে ভয়ে তার সহপাঠিরা আতংকিত হয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে যায়। মারধরের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়লে সহপাঠিরা বাড়িতে গিয়ে নাহিদ হাসানের বাবাকে খবর দেয় । পরে তার বাবা স্কুলে এসে তালাবন্ধ একটি কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হ্সাপাতালে ভর্তি করেন।
শিক্ষার্থীর বাবা মিলন জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আ: সোবহান আমার ছেলেকে চোরের মত মেরেছে। তাকে মারধরের সময় অনেক শিক্ষার্থীই ভয়ে স্কুল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমায় খবর দেয়। খবর পেয়ে এসে দেখি আমার ছেলে একটি কক্ষে বন্দী অবস্থায় আছে। বন্ধরুম থেকে তাকে উদ্ধার করে অসুস্থবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবী করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আ: সোবাহানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি লালমনিরহাটে আছি এ বিষয়ে সাক্ষাতে কথা হবে বলে কলটি কেটে দেয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযোগ পেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজী আলতাব হোসেন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আপনি কত টাকা পেয়েছেন , যে আমার শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ লিখবেন, বলে কলটি কেটে দেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মহন্ত বলেন, শিক্ষার্থীকে মারধর সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা মিললে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।