মুসলমান সম্প্রদায়ের পবিত্র ঈদুল আজাহা কে কেন্দ্র করে এখনই বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের মসলার দাম। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বলছেন, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে।
বুধবার ১৫ মে দুপুরে হিলি স্থল বন্দর সংলগ্ন বাংলাহিলি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায় বিভিন্ন নামের প্যাকেট জিরা ৬০০ টাকা কেজি দরের জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে। ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরের কালো বড়এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এবং ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরের সাদা এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকায়।
মশলা ক্রেতারা বলছেন, এখনো কুরবানির ঈদের একমাস বাকি। এখনই বাড়তে শুরু করেছে মশলার দাম হয়তো আর কিছুদিন পর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এসব মসলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারনে ভারত থেকে বেশি মূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে এসব মসলা। এ কারণে দামও বেড়েছে।
বগুড়া শিবগঞ্জ থেকে হিলিতে এসেছেন মো. জাফর হোসেন। তিনি বলেন, হিলিতে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। মনে হলো, এখানে তো মসলার দাম বগুড়ার চেয়ে কম তাই মসলা বাজারে এসেছি কিছু মসলা কিনতে কিন্তু কিছুদিন আগে যে জিরার কেজি ছিল ৬০০ টাকা, এখন তাকি কিনা লাগল ৭৫০ টাকায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও বগুড়া তে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শুনলাম । তাই ৭৪০ টাকা দিয়ে এক কেজির একটি জিরার প্যাকেট কিনলাম। ’স্থানীয় বাসিন্দা সবজি দোকানদার মো. বিপ্লব হোসেন বলেন প্রত্যাক বারই ‘কুরবানি ঈদের আগেই সবধরনের মসলার দাম বাড়ে। এবারও তাই হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি কালো এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। সাদা এলাচ ২ হাজার ৮০০ কেজি দরে।
আর আজ বুধবার বিক্রি হচ্ছে কালো এলাচ ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ও সাদা এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।’
হিলি বাজারের পুরাতন মসলা বিক্রেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জিরা ও এলাচ ভারত থেকে আমদানি নির্ভর। আমরা যারা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি। আমদানিকারকেরা আমাদের বলেছেন, ভারতেই নাকি জিরা ও এলাচের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে আমদানিকারকদের কাছ বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।