
মাহুত ঘারে চড়ে নিয়ন্ত্রন করতো বিশাল দেহের হাতিকে। কিভাবে যেন তার মাথা বিগ্রে যায় হাতিটির। ঘারে চড়ে থাকা মাহুতকে শুঁর দিয়ে পেচিয়ে এক আছার। তার পর বুকে পাদিয়ে পাড়া দিয়ে নির্মম ভাবে হাত্যা করা হয় মাহুত নজরুল ইসলামকে(৩৫)। মঙ্গলবার বিকেলে পার্ক কর্তৃপক্ষ হাতিটিকে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থেকে উদ্ধারকরে। মঙ্গলবার বিকেলে হাতিটিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। মাহুত হত্যাকারী হাতির সব শেষ ঠাঁই হলো সাফারি পার্কে।
বিষিয়টি নিশ্চিত করে পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক রেমা. রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে বিভাগীয় বনকর্মকর্তার মাধ্যমে সংবাদ পাই একটি হাতি মাহুতকে আছরে মেরে ফেলেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং জনতা হাতিটিকে কোন ভাবে আটকে রেখেছে। এমন খবরের ভিত্তিতে বন্যপ্রঅণীর ইনিসএপক্টর রাহু আহাম্মদের নেতৃত্বে পার্কের বৈটেরনারী সার্জন সারুয়ার অঅহাম্মদ, ল্যাব এসিস্টেন্ড, তিন জন মাহুতের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠাই। সেখান থেকে কোন প্রকার ট্রাংকুলাইজার ব্যবহার নাকরে মাহুতরা হাতিটিকে উদ্ধার করতে হয়। উদ্ধারকরা হাতিটিকে পার্কে কিছুদিন বিশেষ কোয়ারেনটাইন রাখা হবে। তার আচরণ স্বাভাবিক হলে তাকে অন্য হাতির সাথে রাখা হবে।
তিনি আরো জানান, কিছুদিন আগে নির্যাতনের শিকার একটি হাতিকে পার্কে আনা হয়েছে। পার্কে এখন হাতির সংখ্যা —টি।
সূত্রে জানাযায়, কোটালীপাড়া থেকে উদ্ধার করা হাতির মাহুত নজরুল ইষলাম দীর্ঘ দিন ধরে ওই হাতি দিয়ে এলাকায় ঘুরে টাকা তুলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মঙ্গলবার সমকালে হাতিটি নিয়ে তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কুটালীপাড়া উপজেলার পোলসাইর বাজারে টাকা তুলছিলেন। এক পর্যায়ে হাতিটি ঘারের উপ বসে থাকা মাহুত নজরুলকে শুঁর দিয়ে পেচিয়ে মাটিতে ছুড়ে মারে। পরে পাদিয়ে নজরুলের বুকের উপর পাড়া দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নজরুল মারা যান।