গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সিপির মোড় এলাকায় ( সি পি বাংলাদেশ কো: লি:) কারখানার বর্জ ব্যবসা দখল নিয়ে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় রামদাসহ দেশি বিদেশি অস্ত্র নিয়ে মজিদ বাহিনীর মহড়া দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর ) দুপুর সারে ১২ দিকে উপজেলার সিপির মোড় এলাকায় (সি পি বাংলাদেশ কো: লি:) কারখানায়
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় (সি পি বাংলাদেশ কো: লি:) কারখানা থেকে প্রতি মাসে বেশ কিছু পরিমাণ পরিত্যক্ত বর্জ বের হয়। এ মালামাল বের করা নিয়ে প্রভাবশালী দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার হবির বাড়ি ইউনিয়নের মজিদের নেতৃত্বে একদল হামলা কারীরা পিস্তল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ওই কারখানার সিসি টিভির কেমেরা, সাইনবোর্ড গেইট ভাংচুর করে। গেইটে হামলাকরে কর্মরতদের অবরোদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অভিযুক্তরা হলো ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মো. আ.মজিদ আকন্দ,মো.শরিফ আকন্দ,মো. সোহেল আকন্দ, মো. সুজন আকন্দ সহ অজ্ঞাত আরো অন্তত্য ২৫জন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
হ্যাচারীর ডিপার্ট ম্যান্ট ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হ্যাচারীর ৬০ভাগ ব্যবসা করে শ্রীপুরের লোক। বাকী ৪০ভাগ ব্যবসা ভোগ করেন ভালুকার লোকজন। ভালুকা উপজেলার মনহরপুর গ্রামের আ.মজিদ পুরো ৪০ভাগ ব্যবসা একাই দাবী করেন। ব্যবসার দাবীতে সোমবার দুপুরে মজিদ আকন্দ ও তার ছেলে শরিফ আকন্দের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০জন সন্ত্রাসী হ্যাচারীর গেইটে হামলা চালায়। হামলা কারীরা হ্যাচারীর সিসি ক্যামেরা, সাইবোর্ড ভাংচুর করে। পরে হ্যাচারীর ভেতরে প্রবেশ করতে গেইটে হামলা করে। এসময় আমরা কর্মরতরা ভেতরে আতংকিত হয়ে পরি।
তিনি দাবী করেন, হামলাকারীদের মধ্যে পাঞ্জাবী পড়া এক যুবকের হাতে পিস্তল ছিলো। অন্যদের হাতে ছিলেঅ লাঠি,হকিস্টিক,দা সহ দেশীয় অস্ত্র। সিসি ক্যামেরর মাধ্যমে হামলা কারীদের দেখতে পাই। খবর দিলে শ্রীপুর থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র করে। বক্তব্য জানতে মো. শরিফকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভড না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শরিফের পিতা আ.মজিদকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি হামলার কথা অস্বীকার করে জানান, বাহিরের কোন ছেলেরা ঢিল মেরে সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে ছিলো। আমরা বসে মিমাংসা করে ফেলেছি। শ্রীপুর থানার উপ পরিদর্শক মো. আমিনুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। সিসি ক্যামেরার ফোটেজ সংগ্রহ করেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।